হঠাৎ করেই দুনিয়ার সব আয়োজন, প্রয়োজন ফেলে তরুণ তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত ফিরে গেছেন অনন্তকালে। নশ্বর পৃথিবীতে রয়ে গেছে তাঁর নানা রঙের অসংখ্য ধূসর, উজ্জ্বল স্মৃতি। সেই স্মৃতি যেন ভারী থেকে ভারী হয়ে ঠেকেছে ‘প্রেমিকা’ রিয়ার কাছে। যার ফলে অকালে চলে যাওয়া আবেগপ্রবণ তরুণের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে সবার আগে তাঁকে আশ্রয় মনে করছেন মুম্বাই পুলিশ। তদন্তের প্রথম ধাপে ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো এই নবীন তারকাকে।
গত রোববার বান্দ্রার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ৩৪ বছর বয়সী বলিউডের তরুণ নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুত। প্রাণখোলা, হাসিখুশি এই নায়কের মৃত্যু ঘিরে উঠে এসেছে একাধিক প্রশ্ন। সুশান্তের পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাদের সন্তানকে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ঘটনাটি আত্মহত্যাই।
আত্মহত্যা? তাহলে কেন আত্মহত্যা করলেন সুশান্ত সিং রাজপুত? সুইসাইড নোট মেলেনি, তাই এই বলিউড তারকার মৃত্যুর জট খুলতে বেশ ভাবনায় পড়তে হয়েছে মুম্বাই পুলিশের। গতকাল তদন্তের জন্য সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে থানায় তলব করেছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে হাজির হন রিয়া। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা জামা পরা রিয়া গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত থানার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ঢুকে পড়ছেন। মুখ ডাকা ছিল মাস্কে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো তাদের খবরে প্রকাশ করেছে, গতকাল সারা দিন দফায় দফায় রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করে পুলিশ, প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে যান রিয়া। এদিন রিয়ার সঙ্গে তাঁর মা–বাবাও পুলিশ স্টেশনে হাজির ছিলেন। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়লেও কোনো কথা বলেননি রিয়া। হাতজোড় করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
এর আগে দেড় বছর ধরে রিয়ার সঙ্গে সুশান্তর প্রেমের সম্পর্কের খবর ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। শুধু তা–ই না, নভেম্বরেই নাকি বিয়ে করার কথা ছিল সুশান্তর, জানিয়েছেন প্রয়াত অভিনেতার এক আত্মীয়। পাশাপাশি পরিচালক রোমি জাফরি অভিনেতার মৃত্যুর পর সাংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর পরবর্তী ছবিতে একসঙ্গে কাজ করবার কথা ছিল সুশান্ত-রিয়ার। এই রোম্যান্টিক কমেডি ছবির কাজ শুরুর কথা ছিল মে মাসে, যদিও করোনার জেরে কাজ স্থগিত হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে নানা হিসাব–নিকাশ করে সুশান্তর আত্মহত্যার রহস্যের জট খুলতে শুরু থেকেই পুলিশের তদন্তের বিষয় হয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী।
রিয়া চক্রবর্তীকে বৃহস্পতিবার বান্দ্রা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
রিয়া চক্রবর্তীকে বৃহস্পতিবার বান্দ্রা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
হঠাৎ করেই দুনিয়ার সব আয়োজন, প্রয়োজন ফেলে তরুণ তারকা সুশান্ত সিং রাজপুত ফিরে গেছেন অনন্তকালে। নশ্বর পৃথিবীতে রয়ে গেছে তাঁর নানা রঙের অসংখ্য ধূসর, উজ্জ্বল স্মৃতি। সেই স্মৃতি যেন ভারী থেকে ভারী হয়ে ঠেকেছে ‘প্রেমিকা’ রিয়ার কাছে। যার ফলে অকালে চলে যাওয়া আবেগপ্রবণ তরুণের অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে সবার আগে তাঁকে আশ্রয় মনে করছেন মুম্বাই পুলিশ। তদন্তের প্রথম ধাপে ১১ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো এই নবীন তারকাকে।
গত রোববার বান্দ্রার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ৩৪ বছর বয়সী বলিউডের তরুণ নায়ক সুশান্ত সিং রাজপুত। প্রাণখোলা, হাসিখুশি এই নায়কের মৃত্যু ঘিরে উঠে এসেছে একাধিক প্রশ্ন। সুশান্তের পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে তাদের সন্তানকে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন ও পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, ঘটনাটি আত্মহত্যাই।
আত্মহত্যা? তাহলে কেন আত্মহত্যা করলেন সুশান্ত সিং রাজপুত? সুইসাইড নোট মেলেনি,তা ইএই বলিউড তারকার মৃত্যুর জট খুলতে বেশ ভাবনায় পড়তে হয়েছে মুম্বাই পুলিশের। গতকাল তদন্তের জন্য সুশান্তের বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে থানায় তলব করেছিলেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বান্দ্রা পুলিশ স্টেশনে হাজির হন রিয়া। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা জামা পরা রিয়া গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত থানার দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে ঢুকে পড়ছেন। মুখ ডাকা ছিল মাস্কে। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো তাদের খবরে প্রকাশ করেছে, গতকাল সারা দিন দফায় দফায় রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করে পুলিশ, প্রায় ১১ ঘণ্টা ধরে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ স্টেশন থেকে বেরিয়ে যান রিয়া। এদিন রিয়ার সঙ্গে তাঁর মা–বাবাও পুলিশ স্টেশনে হাজির ছিলেন। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়লেও কোনো কথা বলেননি রিয়া। হাতজোড় করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
এর আগে দেড় বছর ধরে রিয়ার সঙ্গে সুশান্তর প্রেমের সম্পর্কের খবর ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। শুধু তা–ই না, নভেম্বরেই নাকি বিয়ে করার কথা ছিল সুশান্তর, জানিয়েছেন প্রয়াত অভিনেতার এক আত্মীয়। পাশাপাশি পরিচালক রোমি জাফরি অভিনেতার মৃত্যুর পর সাংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর পরবর্তী ছবিতে একসঙ্গে কাজ করবার কথা ছিল সুশান্ত-রিয়ার। এই রোম্যান্টিক কমেডি ছবির কাজ শুরুর কথা ছিল মে মাসে, যদিও করোনার জেরে কাজ স্থগিত হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে নানা হিসাব–নিকাশ করে সুশান্তর আত্মহত্যার রহস্যের জট খুলতে শুরু থেকেই পুলিশের তদন্তের বিষয় হয়েছেন রিয়া চক্রবর্তী।
রিয়া চক্রবর্তীকে বৃহস্পতিবার বান্দ্রা থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তদন্তকারী কর্মকর্তারা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
এর আগের দিন বুধবারই সুশান্ত সিং রাজপুতের শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’র পরিচালক বন্ধু মুকেশ ছাবড়ার বক্তব্য রেকর্ড করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এই মামলার তদন্তে নেমে প্রায় ১১ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে মুম্বাই পুলিশ, যার মধ্যে রয়েছে সুশান্তের পরিবার, ঘটনার দিন তারকার ফ্ল্যাটে হাজির তিন হাউসহেল্প, বন্ধু, দুই ম্যানেজার এবং বন্ধু মহেশ শেট্টি। টাইমস অব ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, সুশান্তর আত্মহত্যার মামলায় বেশ কয়েকটি বড় প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ।
ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, আত্মহত্যা করেছেন সুশান্ত সিং রাজপুত। তবে এর কোনো উল্লেখযোগ্য সূত্র এখনো পায়নি পুলিশ। নির্দিষ্ট প্যাটার্ন মেনেই চলছে এই মামলার তদন্ত, সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশের এক সূত্র। ব্যক্তিগত জীবনের কোনো সমস্যা, নাকি পেশাগত বিদ্বেষ? সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ঘটনার প্রথম দিনেই সুশান্ত যে ক্লিনিক্যাল ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন, তা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। তাঁর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয়েছে ওষুধ ও ব্যবস্থাপত্র, যা ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, গত ছয় মাসে বেশ কয়েকজন চিকিৎসা পাল্টেছেন অভিনেতা। তাঁদের সবার সঙ্গে কথা বলে সুশান্তের মানসিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য নিতে চায় পুলিশ। ইতিমধ্যে দু-একজন চিকিৎসকের সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে কথাও বলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি সুশান্তের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাঁর ব্যক্তিগত পাঁচটি ডায়েরিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেগুলো নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া, পাশাপাশি অভিনেতার ফোন, ল্যাপটপও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এর আগে গত বুধবার সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা হয়েছে বলিউড তারকা সালমান খানের বিরুদ্ধে। শুধু সালমান নন, সুশান্ত সিং রাজপুতের অপমৃত্যুর ঘটনায় বাদী মামলা করেছেন করণ জোহর, সঞ্জয় লীলা বনসালি, আদিত্য চোপড়া, সাজিদ নাদিয়াদওয়ালার, একতা কাপুরসহ আটজনের বিরুদ্ধে। বিহারের মুজাফফরপুরে একটি আদালতে এই মামলা করেছেন অ্যাডভোকেট সুধীর কুমার ওঝা।