স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি পেশাদারদের ভূমিকা নিয়ে সিটিও ফোরামের মিট দ্য প্রেস

বাংলাদেশ বাংলাদেশের আইসিটি লিডারদের একটি অলাভজনক এবং অরাজনৈতিক পেশাদার ফোরাম। ফোরামের উদোগ্যেস্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইসিটি পেশাদারদের ভূমিকা নিয়ে মিট দ্য প্রেস”    প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয় ৭ই জুন ২০২৩ বুধবারসকাল ১০টায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুরুল হোসেন চৌধুরী হলে

 

অনুষ্ঠানের শুরুতে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেন ফোরামের কার্য্যকারী সদস্য জনাবা নাহিদা আক্তার, তিনি বলেন ২০৪১ সালেরমধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে, তখন মাথাপিছু আয় ১২,৫০০ ডলারের বেশি হবে। বাংলাদশ হবে সোনার বাংলা, যেখানে দারিদ্র্য থাকবে সীমিত।

 

স্বাগত বক্তব্য দেন সেক্রটারী জেনারেল মোঃ আরফে এলাহী মানিক। তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল সৈনিক, ডিজিটালবাংলাদেশের জন্য কাজ করেছি। আমরা এখন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্যকাজ করছি। আমরা ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক পরিষেবা নিয়ে আইসিটি বিভাগ, বেসিস, এটুআই, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, এমওপিটি, বিটিআরসি এবং অন্যান্য অনেক সরকারি বেসরকারিসেক্টরের সাথে কাজ করছি।

 

২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। সিটিও ফোরামের সদস্য পুলে  অনেক অভিজ্ঞপেশাদার ICT  লিডার রয়েছে যারা এই ধরনের গবেষণা চালাতে সক্ষম। স্মার্ট সিভিল সার্ভেন্ট তৈরির জন্য, সিটিও ফোরামগভর্নেন্সে উদীয়মান প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে।

 

ফোরামের সহসভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) .  সেলিম বলেন যে কোনো পরিকল্পনা, মহাপরিকল্পনা বা প্রেক্ষিতপরিকল্পনা অর্থনৈতিক সামাজিক পরবির্তনের শক্তিশালী মাধ্যম হয়ে ওঠে তখনই, যখন তাতে সন্নিবেশিত হয় লক্ষ্যনির্ভরসুনির্দিষ্ট বাস্তবায়নযোগ্য কর্মসূচি। আমাদের সামনে এর উজ্জ্বলতম উদাহরণ ডিজিটাল বাংলাদেশ। রূপকল্প ২০২১ এর মূলউপজীব্য ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে প্রণয়নকরা হয়েছিল প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০১০২১। প্রেক্ষিতপরিকল্পনা সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আলোকে বিভিন্নকর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় ডিজিটালবাংলাদেশ বিনির্মানেঅভাবনীয় সফলতা আসেএমনকি ব্রিটিশ আমল থেকে প্রচলিত সরকারি সেবার পদ্ধতিও ক্রমে পরিবর্তন হচ্ছে সরকারি ক্রয়সহঅনেক সেবাই এখন অনলাইনেও সহজলভ্য।

 

যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, প্রফেসর . দীপ নন্দী বলেন, সিটিও ফোরাম জাতীয় চাহিদা মোকাবেলায় উদ্ভাবনী সমাধানের জন্যঅনেক হ্যাকাথন পরিচালনা করেছে। এই ফোরাম এই বিষয়ে অনেক কিছু করতে পারে. এর কারণ, এই ফোরামটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথেও তার পেশাদার নেটওয়ার্ক হিসাবে রয়েছে। CTO ফোরাম বিশ্বব্যাপী অনেক ICT community  সাথে সংযুক্ত, তাইআমরা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি স্থানীয়করণে আমাদের দেশকে সাহায্য করতে পারি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন বিষয়ে  তরুণদেরপ্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে।

 

 

যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, মো আসিফ বলেন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ বাংলাদেশের আইসিটি লিডারদের একটি অলাভজনকএবং অরাজনৈতিক পেশাদার ফোরাম। এই ফোরাম জাতীয় পর্যায়ে আইসিটি সেক্টরে সরকার জনগনকে নেতাদের সাহায্যকরার জন্য একটি সহযোগী শক্তি হিসাবে কাজ করছে। এর লক্ষ্য সরকারি বেসরকারি খাতকে নলেজ ব্যাংকের মাধ্যমেসহায়তা করা যা ফোরামের ৪০০ জন সদস্য দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।

 

ফোরামের  অর্থ সম্পাদক জনাব মোহাম্মদ মুসা, বলেন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় প্রায় ৩০০০ ডলার।মেট্রোরেল পদ্মা সেতু উদ্বোধন দুটিই উন্নয়নের মাইলফলক। সফলভাবে কারোনা মহামারি মোকাবিলা, শিক্ষা, যোগাযোগঅবকাঠামো, গ্যাস, বিদ্যুৎ, নারী শিক্ষা, চাকরিজীবীদের বেতনভাতা শতভাগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতাঅর্জন, সামাজিক কর্মসূচির আওতায় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী, অসহায়, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তালাকপ্রাপ্ত নারীদেরসহায়তা, অটিজম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, নারীরক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

 

ফোরামের কার্য্যকারী সদস্য জনাবা সুপর্ণা রায় বলেন সরকার বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়, যেখানে জনশক্তিই হবে স্মার্ট। সবাই অনলাইনে সব করতে শিখবে। অর্থনীতি হবে অর্থনীতি, যেখানে সম্পূর্ণ অর্থ ব্যবস্থাপনাডিজিটাল ডিভাইসে করা হবে। আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানসবই হবে গভর্নেন্সের মাধ্যমে। শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসহসবটাতে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা হবে।

 

ফোরামের কার্য্যকারী সদস্য জনাব মোঃ ফজলে মুনিম বলেনডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ আইসিটি খাতে বিপ্লব সাধন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় অসামান্য সাফল্যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে আসীন করা, দেশকেউন্নয়নশীল বিশ্বের কাতারে শামিল করাসহ বাংলাদেশের অসংখ্য কালোত্তীর্ণ অর্জনের কারিগর সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা।যদিও করোনাউত্তর বৈশ্যিক সমস্যা, ইউক্রেনরাশিয়া যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট চাপে সারাবিশ্বে বর্তমানে আক্রান্ত। বাংলাদেশও এরবাইরে নয়।

Post Under