এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তখন রাতের আঁধার। রাস্তার পাশ থেকে ভেসে আসছিলো শিশুর কান্নার শব্দ। কান্নার শব্দের উৎস খুঁজতে মাসুদ মিয়া নামের এক পথচারি এগিয়ে গিয়ে দেখলেন অভাবনীয় এক দৃশ্য! সড়কের পাশে পড়ে আছে ফুটফুটে এক শিশু। তৎক্ষনাত তিনি শিশুটিকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশ ছ’মাস বয়েসী ছেলে শিশুটিকে পরিচর্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। খোঁজা হচ্ছে তার পরিচয়-পরিবার-পিতামাতাকে।
রোববার (২৯নভেম্বর) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের দুবলা গ্রামের একটি সড়কের পাশে মিলে ছ’মাস বয়েসী ওই ছেলে শিশুটিকে। তাকে উদ্ধার করে ওই গ্রামের জহির মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে রাত নয়টার দিকে সদর মডেল থানা পুলিশ শিশুটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। বাসুদেব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক মো. আশরাফুল আলম জানান, দুবলা গ্রামের মাসুদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি কান্নার আওয়াজ শুনে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে তিনি স্থানীয় এলাকাবাসীকে জানিয়ে শিশুটিকে জহির মিয়ার বাড়িতে রেখে দেন। শিশুটিকে পাওয়ার আগে ওই জায়গাতে দুই নারী ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, শত্রুতা কিংবা অন্য কোনো কারণবশতই ওই নারীরা শিশুটিকে এখানে এনে রেখে যান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের টাইমলাইনে বিষয়টি উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেন আশরাফুল আলম। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ শিশুটির সঠিক পরিচর্যার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান।বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. আবদুর রহিম বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে দুবলা গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়ার বাড়ি থেকে শিশুটি উদ্ধার করে পরিচর্যার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জহির মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম হাসপাতালে ভর্তিকৃত শিশুটির দেখভাল করছেন। শিশুটির পরিচয় সনাক্ত করার জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।