কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
কসবা উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বলেন, সুষ্ঠ ভোট হয়েছে, জনগন শতস্ফুর্তভাবে ভোট দিয়ে তাদেরকে নির্বাচিত করেছেন। বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় উপজেলা হাসপাতাল সংলঘœ মা মনোয়ারা কমপ্লেক্সে কসবা পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মো. মানিক মিয়ার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনের আগে বিভিন্ন বাদ্য যন্ত্রের মাধ্যমে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়েছে। শোভাযাত্রাটি কসবা পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করেছে। এতে দলীয় নেতা-কর্মীসহ নির্বাচিতদের কর্মী সমর্থকরা অংশ নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বে-সরকারীভাবে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান ছাইদুর রহমান বলেন, সাধারণ জনগন কেন্দ্রে গিয়ে তাদেরকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। সুষ্ঠ ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করে দেওয়ায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, গণমাধ্যমসহ নির্বাচনী কাজে অংশ নেওয়া প্রত্যেককে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
প্রতিদ্ব›িদ্ব প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করে ৩৮টি ভোট কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে এ রকম প্রশ্নের জবাবে সাইদুর রহমান বলেন, নির্বাচনে জনগন ভোট দিয়েছে। তারা ফেল করেছে। তারা অনেক কথা বলতে পারে। তাদের বিষয়ে আমি কিছু বলব না। গণমাধ্যমসহ স্থানীয় লোকজন প্রত্যক্ষদর্শী জনগনের ভোটে তারা নির্বাচিত হয়েছে।
দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়েছে পড়েছে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি শপথ গ্রহনের পর স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক মহোদয়কে সাথে নিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা যেন বিভক্ত না হয়ে এক সাথে চলতে পারে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তিনি বলেন, আমি ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে চাই, প্রবীণদের সম্মান করতে চাই এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি কসবার জনগনের উন্নয়নের জন্য সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, জনগন আমাদেরকে ভোট দিয়েছে, আমরা নির্বাচিত হয়েছি। কৃতজ্ঞতা জানাই তাদের প্রতি। যারা ফেল করেছে তারা অনেক আবোলতাবোল বলছে। এ গুলি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, কসবা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, খাড়েরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান, বায়েক ইউপি চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন, কসবা পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান মো. মানিক মিয়া প্রমুখ।
রিটানির্ং কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে, গত মঙ্গলবার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছাইদুর রহমান । তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দি¦ মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৬ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে চশমা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মো. শফিকুল ইসলাম। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্ব›িদ্ব মো. মনির হোসেন তালা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৯ হাজার ১৯১ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দি¦তায় নির্বাচিত হয়েছেন সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া।
এর আগে বুধবার বেলা দেড়টার দিকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আইনমন্ত্রীর সাবেক এপিএস, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়ার কসবাস্থ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। এ সময় বক্তব্য রেখেছেন পরাজিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মনির হোসেন।
মোহাম্মদ শাখাওয়াৎ হোসাইন, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি। ২২/০৫/২০২৪