এমদাদুল হক সোহাগ:
আধুনিক ও স্বচ্ছল বিআরটিসি বিনির্মানের কান্ডারি বিআরটিসির চেয়ারম্যান সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো: তাজুল ইসলাম গ্রেড-১ পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। ১৩ জুন জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন নিয়োগ-১ শাখার উপ সচিব এটিএম শরিফুল আলম রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ওই প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
সরকারের দক্ষ্য, চৌকস এই কর্মকর্তা একসময় কুমিল্লার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদের সচিব, এডিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে প্রবাসী কল্যান মন্ত্রণালয়ের পরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে পুরো প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নকে ব্যাপক তরান্বিত করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। সর্বশেষ তিনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতিতে ডুবতে থাকা বিআরটিসির হাল ধরেন। এক সময় লোকসানের কারনে কর্মীদের বেতন দিতে না পারা বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলামের হাত ধরে অল্প সময়ের মধ্যে ঘুড়ে দাড়িয়েছে। হয়েছে উন্নয়নের মডেল। সততা, পরিশ্রম ও যাদুকরি নেতৃত্বে বিআরটিসি আজ সমৃদ্ধি লাভ করছে দিনের পর দিন। দীর্ঘবছরের লুটপাটের সিন্ডিকেট ভেঙ্গে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
বিআরটিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই চেয়ারম্যান যোগদানের পরই প্রথম নিয়মিত বেতন, বোনাস সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ডিজিটাল ব্যাংকিং পদ্ধতিতে পেয়ে যাচ্ছেন। তাছাড়া সারা বাংলাদেশের বাস ডিপোগুলোকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন সহ নতুন রুপে সাজিয়ে তুলেছেন। বিআরটিসি চেয়ারম্যানের সাহস, দুরদর্শিতা, সততা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতার কারনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বিআরটিসি আজ সাফল্যের গৌরব অর্জন করেছেন। চেয়ারম্যানের এই সফলতায় স্বয়ং সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রসংশা করেছেন।
অতিরিক্ত সচিব মো: তাজুল ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার সৈয়দাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এলাকায় একজন সামাজিক, নিরহংকার, পরোপকারী, সদালাপী মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।