এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার খালিশা এলাকার মোহাম্মাদিয়া মিসবাউল উলুম মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির আট বছর বয়সী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় মাদ্রাসার পরিচালক ও শিক্ষক মাওলানা নাছির পাটোয়ারীকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যঅব) এর কুমিল্লা ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-২।
গতরাতে রাজধানী ঢাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেন ধর্ষক মাওলানা নাছির পাটোয়ারী।
জানা যায়, ভিকটিম শিশু শিক্ষার্থীর বাবা একজন প্রবাসী এবং মা গৃহিনী। ভিকটিম ও তার ভাই দাউদকান্দির খালিশা গ্রামের মোহাম্মাদিয়া মিসবাউল উলুম মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত রয়েছেন। গ্রেফতার মাওলানা নাছির
পাটোয়ারী ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালক। গত ৪ জুলাই ভিকটিম ও তার ভাই মাদ্রাসায় ক্লাস করতে যায়। ওইদিন আবহাওয়া খারাপ এবং বর্ষণের কারনে মাদ্রাসার অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী অনুপস্থিত ছিল। ধর্ষক নাছির পরিবারসহ মাদ্রাসার পিছনের একটি বাড়িতে বসবাস করতো এবং ঘটনার দিন আসামীর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে অনুপস্থিত ছিল। এই সুযোগে ভিকটিমকে ঘর ঝাড়ু দেয়ার কথা বলে মাদ্রাসা থেকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনা কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। বাড়িতে গিয়ে ভিকটিম কান্নাকাটির এক পর্যায়ে তাঁর মায়ের কাছে সকল ঘটনা খোলে বলেন। ঘটনার জানাজানির সাথে সাথেই পালিয়ে যান মাওলানা নাছির পাটোয়ারী। পরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দাউদকান্দি মডেল থানায় মামলা করেন।
র্যাব কুমিল্লা সিপিসি-২ এর উপ-পরিচালক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে নাছির পাটোয়ারী। তাকে দাউদকান্দি থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।