এমদাদুল হক সোহাগ, কুমিল্লা
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়ন শ্রীমন্তপুর এলাকায় রবিউল ইসলাম(১৮) নামের এক দোকান কর্মচারীকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
(১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪) রোববার বিকেলে বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। হত্যার অভিযোগের তীর রবিউলের বাকশীমূল শশুড় বাড়ির লোকজন ও কুমিল্লা ইপিজেড আজমীর স্টোরের ব্যবসায়ী বাহারের বিরুদ্ধে।
সন্ধ্যায় শ্রীমন্তপুর-আনন্দপুর মৌজায় রাস্তার পাশে ফরিদ উদ্দিনের ঝোপঝাড় জায়গা থেকে রবিউলের গলাকাটা মরহদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে বুড়িচং থানা পুলিশ।
নিহতের বাড়ি বাকশীমূল ইউনিয়নের পাল্টিরাজাপুর। তার বাবার নাম খোরশেদ আলম।
জানা যায়, রবিউল ইসলাম কুমিল্লা ইপিজেড সংলগ্ন এলাকার আজমীর স্টোর দোকানের কর্মচারী ছিলেন। পরিবার সূত্রে জানায়, রবিউল ইসলাম শনিবার রাত ৮টার সময় আজমীর স্টোরের স্বত্বাধিকারী বাহারের নিকট থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসার পথে ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, পাল্টিরাজাপুর নানা আব্দুল মান্নানের বাড়িতে থেকে বড় হয় রবিউল। নিহত রবিউলের মায়ের দ্বিতীয় স্বামী সৎবাবা হেলাল জানান, তার মাকে বিয়ে করার পর থেকে তাদের ভরণপোষণের দায়-দায়িত্ব আমি নিয়েছি। রবিউল অনেক বছর ধরে কুমিল্লা ইপিজেড সংলগ্ন এলাকা আজমীর স্টোর বাহারের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছে। তিন মাস আগে দোকানের মালিক বাহার এর সাথে বকেয়া টাকা নিয়ে বিছুটা ঝামেলা ছিলো। অপর দিকে রবিউল বিয়ে করে বাকশীমূল গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে সানজিদা আক্তারকে। বিয়ে করার পরে রবিউল জানতে পারে তার স্ত্রীর চোখ সহ বিভিন্ন সমস্যা ছিলো। তাই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ছিলো। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে রবিউলের শশুড় মনিরুল ইসলাম বুড়িচং থানায় অভিযোগ করে। নিহতের পরিবার দোকানের মালিক ও শশুড় বাড়ির লোকজনকে এ হত্যাকান্ডের দায়ী করেন।
এ বিষয় বুড়িচং থানার এসআই লিটন ঘোষ, এসআই আরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থল গিয়ে মরদেহে একাধিক আঘাতের চিহৃ ও গলাকাটা দেখতে পায় এবং ঘটনার একটু দূরে একজোড়া জুতা পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি আজিজুল হক জানান, আমি সরেজমিনে গিয়েছি। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।