মানি লন্ডারিং মামলায় চট্টগ্রাম কারাগারের সাবেক জেলার সোহেল রানা বিশ্বাসসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক))।
গত বৃহস্পতিবার আলোচিত এ মামলায় দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা সাধন চন্দ্র সূত্রধর কিশোরগঞ্জ আদালতে এটি দাখিল করেন। ২০১৮ সালে ভৈরবে জব্দকৃত টাকাসহ অবৈধ উপায়ে অর্জিত ৭ কোটি ৬ লাখ ১৮ হাজার ৭৭৭ টাকা সোহেল রানা ও অভিযুক্তদের ব্যাংক হিসাবে পাওয়া যায়।
চার্জশিটে সে ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন তার স্ত্রী হোসনেআরা পপি, শ্যালক রাকিবুল হাসান, চাচাতো ভাই মো. রুবেল বিশ্বাস ও বন্ধু এসএম তন্নু।
আদালতে শুনানি শেষে চার্জশিট গ্রহণের পর বিচারকাজ শুরু হবে। ভৈরব রেল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে গত ২০ মাস ধরে কিশোরগঞ্জ কারাগারে আটক রয়েছে সোহেল। গত ১৬ জুন হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার পাসপোর্ট জমা দেয়ার শর্তে তাকে জামিন দেন। পরে সরকার পক্ষ জামিনের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে আপিল করলে তা স্থগিত করে ৩০ জুন শুনানির দিন ধার্য করেন।
২০১৮ সালের ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম কারাগারের তৎকালীন জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস চট্টগ্রাম থেকে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা, আড়াই কোটি টাকার ব্যাংক এফডিআর, এক কোটি ৩০ লাখ টাকার বিভিন্ন ব্যাংক চেক, ৫টি খালি চেকবই ও ১২ বোতল ফেনসিডিলসহ ভৈরব রেলওয়ে স্টেশনে রেলওয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানায় দুটি মামলা করে।
মানিলন্ডারিং মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব ময়মনসিংহ অঞ্চলের দুদককে দেয়া হয়। ঘটনার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে এবং জেলারকে সাময়িক বরখাস্ত করে। ময়মনসিংহ দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা সাধন চন্দ্র সূত্রধর যুগান্তরকে জানান, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা।
তদন্ত করতে গিয়ে টাকার খোঁজ ও প্রমাণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হয়েছে। জব্দকৃত টাকার বাইরে জেলার ও তার স্ত্রী, শ্যালকের বিভিন্ন ব্যাংকে ৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া যায়।