এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশ খুনের মূলহোতা মামুন এখনো গ্রেপ্তার এড়িয়েই আছেন। ঘটনার পর থেকেই সে বেপাত্তা। যদিও ঘাতক মামুনের ভাইসহ দু’জন হয়েছে গ্রেপ্তার। শুক্রবার বিকেলে চান্দপুর বাজারে এএসআই আমির হোসেনকে ছুরিকাঘাতে হত্যাকালে আহত অপর এএসআই বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে দায়ের করেন হত্যা মামলা। গ্রেপ্তারকৃত আবুল হোসেন ও ইসমাইল হোসেন মামলার আসামী হিসেবে অন্তর্ভূক্ত।
শুক্রবার (১৭ জুলাই) রাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার আরেক এএসআই মণি শঙ্কর চাকমা বাদি হয়ে পাঁচজনের নামোল্লেখ করাসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা হবার পর শনিবার সকালে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের পুত্র আবুল হোসেন (৩০) এবং ঘটনার মূলহোতা মামুন মিয়ার ভাই ইসমাইল হোসেনকে (২০)। কিন্তু প্রধান আসামী মামুনসহ তিনজন এখনো বেপাত্তা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় মাদক মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামী চান্দপুর গ্রামের মুছা মিয়ার পুত্র মামুন মিয়াকে ধরতে সহকর্মী মণি শঙ্করকে নিয়ে সাদা পোষাকে অভিযান চালান এসএসআই আমির হোসেন। চান্দপুর মাছ বাজারে তাকে পেয়েও যান। কিন্তু মামুনকে ধরামাত্রই সে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত আমির হোসেনকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত এএসআই আমির হোসেন (বিপি নং ৮৪০৪০৬৪৭১১) ময়মনসিংহ জেলা সদরের কোতয়ালী থানাধীন ডিয়ারচর গ্রামের মনতাজ আলীর পুুুুত্র। গত ২৮ মে তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় যোগদান করেছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান দু’জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘হত্যকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মামুন মিয়াকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে