এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে রপ্তানীকৃত বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর ছয় হাজার ৩৫০ কেজি মাছ বোঝাই একটি ট্রাক ছিনতাই হওয়ার ঘটনায় আখাউড়া স্থলবন্দরে হয়েছে সংবাদ সম্মেলন।বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সকালে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে ছিনতাইকৃত মাছের বিষয়ে সমাধান না হলে স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার হুশিয়ারি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া স্থল বন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকান খলিফা, আমদানী রপ্তানীকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, মাছ রপ্তানীকারক ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. ঈদন খান, ব্যবসায়ী মো. নেসার উদ্দিন ভূইয়া, মো. নাজির হোসেন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে সিএণ্ডএফ এজেন্ট সাকিয়াত কনস্ট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারী ও মাছ রপ্তানিকার সমিতির সভাপতি মো. ঈদন মিয়া বলেন, গত ৯ জুলাই আমি ত্রিপুরার আগরতলায় এক লাখ ৬০ হাজার ৫০৫ ডলার মূল্যমানের মাছ রপ্তানী করি। ২৪টি ট্রাকে করে ওই মাছগুলো পাঠানো হয়। কিন্তু ওইদিন রাতে মাছের আমদানীকারক আগরতলার ভাস্কর দাস আমাকে টেলিফোন করে জানায় মাছবাহী ট্রাক বন্দর থেকে বের হয়ে শিলচর যাওয়ার পথে রামনগর এলাকায় কতিপয় ছিনতাইকারী এক ট্রাক মাছ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। ওই ট্রাকে ১২৭টি কার্টুনে ছয় হাজার ৩৫০ কেজি মাছ ছিলো, যার মূল্য ১৫ হাজার ৮৭৫ ডলার। ভারতের আমদানীকারক জানিয়েছে ছিনতাই হওয়ায় ওই মাছের মূল্য পরিশোধ করতে সমস্যা হবে।বিষয়টি সমাধানের জন্য আমি আগরতলার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু তাদের কোন আন্তরিক সহযোগিতা পাচ্ছি না। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
আখাউড়া স্থলবন্দর সিএণ্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফোরকান খলিফা বলেন, ‘আগরতলার ব্যবসায়ী নামধারী কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোকের দ্বারা আমাদের বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা বারংবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আমরা বিচারের জন্য তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও বিচার পাচ্ছি না। আগামী দুয়েক দিনের মধ্যে ছিনতাইকৃত মাছের বিষয়ে সমাধান না হলে আমরা এ বন্দর দিয়ে সকল প্রকার পণ্য রপ্তানী বন্ধ রাখব।’ আমাদানি-রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই বন্দরের সবচেয়ে বড় রপ্তানির খাত মাছ। প্রতিদিন দেড় থেকে দুই লাখ ডলারের মাছ রপ্তানী হয়।আগরতলায় মাছ ছিনতাই হওয়ায় বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। এবিষয়ে দ্রুত সমাধান না হলে আমরা এই বন্দর দিয়ে সকল প্রকার পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেব।’
সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মাছ রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক আহমেদ, ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ সানু, মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।