এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
একসাথে বসেই ভিক্ষে করে তৌফিক ও সুমন। এরই মাঝে প্রাপ্ত খাবারের টোকেন এবং টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে দু’জনাতেই বাকবিতণ্ডা। একটা পর্যায়ে একজন আরেকজনকে করে ছুরিকাঘাত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছুরিকাহত তৌফিককে পাঠানো হয় ঢাকায়, অন্যদিকে সুমনকে আটক করে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের।
সোমবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের (পৌর মুক্তমঞ্চ) সামনের রাস্তার পাশের এই ঘটনায় ছুরিকাহত তৌফিক মিয়া (৩৫) শহরের সরকারপাড়া মহল্লার ফুল মিয়ার পুত্র। অপরদিকে ঘটনার দায়ে আটককৃত সুমন মিয়া (৪৫) চাঁদপুর সদর উপজেলার আদালতপাড়া মহল্লার নজরুল ইসলামের পুত্র।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরে একসাথেই ভিক্ষে করছিলেন তৌফিক ও সুমন। এক পর্যায়ে প্রাপ্ত খাবারের টোকেন এবং টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বেলা তিনটার দিকে ওই দুই ভিক্ষুক জড়ান বাকবিতণ্ডায়। দু’জনাতে চলা বাকবিতণ্ডার এক পর্যায় ভিক্ষুক সুমন ছুরি দিয়ে অপর ভিক্ষুক তৌফিকের বুকে আঘাত করেন। এসময় ধ্বস্তাধস্তির এক পর্যায়ে দুজনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন৷ রক্তাক্ত অবস্থায় দুই ভিক্ষুককেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তৌফিককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করা হয়।অপরদিকে ঘটনার দায়ে সুমনকে আটক করেছে পুলিশ।
জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নাজমুল হক রনি বলেন, ‘আহতের বুকে ছুরিকাঘাতের কারণে ফুসফুসের ক্ষতি হয়েছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার্থে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে৷’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মারামারির ঘটনা নিশ্চিত হয়েছি। গুরুতর আহত ভিক্ষুকের চিকিৎসা চলছে। অভিযুক্ত ভিক্ষুক সুমনকে আটক করা হয়েছে। তবে ঠিক কি বিষয় নিয়ে দু’ভিক্ষুক মারামারিতে জড়িয়েছেন তা এখনোও সঠিক জানা যায়নি।’