অনলাইন ডেক্স:
এখন খোলাবাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশে (টিসিবি)।
পেঁয়াজের অস্থির বাজার সুস্থির করতে খোলাবাজারের পাশাপাশি অনলাইনেও বিক্রি করবে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা টিসিবি।
বুধবার সচিবালয়ে পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত ও সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
টিসিবি গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে খোলা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে। সেখানে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ ২ কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারছেন।
ভারত রপ্তানি বন্ধ করায় গত বছরের মতো এবারও লাগামহীন হয়ে উঠেছে দেশে পেঁয়াজের বাজার। একদিনের ব্যবধানেই প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ বেড়ে গেছে।
এই পরিস্থিতি সামাল দিতে টিসিবির মাধ্যমে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। টিপু মুনশি বলেন, টিসিবি বছরে ১০ থেকে ১২ হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করে না। “এবার আমরা আগে থেকেই চিন্তা করৃছিলাম ৩০ থেকে ৪০ হাজার টন আনব। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা ভাবছি টিসিবির মাধ্যমেই আমরা এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করব।”
টিসিবির জনবল সঙ্কটের কারণে বিক্রিতে জটিলতা দেখা দেয় বলে অনলাইনে বিক্রি করবেন বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন “আমরা ই-কর্মাস প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে পেঁয়াজ বিক্রি করব। আমরা খুব আশাবাদী যে মাসে অন্তত ১০ থেকে ১২ হাজার টন পেঁয়াজ ই-কমার্সের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করতে পারব।”
বাজার সহনীয় করতে টিসিবির আমদানি করা পেঁয়াজ গত বছরের মতো জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
গত বছর টিসিবির আমদানির বাইরেও বড় বড় ব্যবসায়ীরা যে পেঁয়াজ আমদানি করেছিলেন, সেসব পেঁয়াজও ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করা হয়েছিল। টিপু মুনশি বলেন, “গতবারের অভিজ্ঞতা এবার আমাদের খুব কাজে লাগছে। টিসিবির নিয়ম ভেঙে কিছু নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছিল (গতবার)। এবারও এসব পদ্ধতি অনুসরণ করে পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে।”