এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পাওনা টাকার দ্বন্ধে টেঁটাবিদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইশান মিয়া এবং সদ্য বিবাহিত মনির হোসেন খুনের ঘটনায় ২১ জনের বিরুদ্ধে আশুগঞ্জ থানায় দায়ের হয়েছে হত্যা মামলা। এদিকে মামলার এজাহারনামীয় দুধ মিয়াকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে নিহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইশানের চাচা মো. আবদুল্লাহ্ বাদী হয়ে ২১ জনের নামোল্লেখ করে আশুগঞ্জ থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা হবার পর এজাহারনামীয় দুধ মিয়াকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি লামা বায়েক গ্রামের মৃত ইসমাইল মিয়ার পুত্র। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে পাওনা টাকা চাওয়ায় দেনাদার পক্ষের হামলা এবং এ নিয়ে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের টেঁটার আঘাতে খুন হন আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের লামাবায়েক গ্রামের মিজানুর রহমানের পুত্র বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইশান মিয়া (২২) ও একই গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের পুত্র সদ্য বিবাহিত মনির হোসেন (২৪)। এর আগেরদিন সোমবার সন্ধ্যায় গ্রামের চায়ের দোকানের আড্ডায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে হয় কথা কাটাকাটি।এ ঘটনার সূত্র ধরে পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে লিপ্ত হয় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। এতে টেঁটা বিদ্ধ হয়ে ইশান ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে নেয়ার পথে মনির মারা যায়। আহত অপর ১০ জনের মধ্যে আশঙ্কাজনক তফসির মিয়াকে (৩৫) পাঠানো হয় ঢাকায়।
আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. জাবেদ মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।