এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জমিতে সেচের পানি দিচ্ছিলেন আবদুস সাত্তার। মেশিন ঘরের পার্শ্ববর্তীই বসবাসকারী পিতৃহীনা প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৫) একাকী পেয়ে পাষণ্ড সাত্তার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারকে জানালে করা হয় আপোষের চেষ্টা। অবশেষ পুলিশকে জানানোর পর ধর্ষক আবদুস সাত্তারকে আটক করা হয়। ধর্ষিতা প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা এলাকার।
শুক্রবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে আটটার দিকে জেলার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর গ্রামে ঘটে বর্বরোচিত এই ঘটনা। রাতেই একই গ্রামের মৃত জয়দর আলীর পুত্র ধর্ষক আব্দুস সাত্তারকে (৬০) আটক করে সরাইল থানা পুলিশ।
আরো পড়ুনঃ
প্রতিবন্ধীর কিশোরীর মা এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, স্বামী মারা যাবার পর এক প্রতিবন্ধী মেয়েসহ সন্তানদের নিয়ে সমাজের সকল মানুষের সহায়তা নিয়ে অত্যন্ত কায়ক্লেশে দিনাতিপাত করেন ওই কিশোরীর মা। টিঘর গ্রামের অনেকটা নির্জন স্থানেই চার সন্তান নিয়ে বসবাস করেন ওই বিধবা।শুক্রবার রাত অনুমান আটটার দিকে তার প্রতিবন্ধী মেয়েটি বাথরুমে যেতে ঘর থেকে বের হয়। এর অনেকক্ষণ পরও ঘরে আসছিলো না। পরে তিনি ঘর থেকে বের হয়ে দেখে তার মেয়ে হেঁটে আসছে। কাছে আসার পর দেখেন তার শরীরের কাঁদা লাগানো। সে মুখে কিছু না বলতে পেরে আমার হাত ধরে স্থানীয় বাজারে নিয়ে যায়। সেখানে একটি সেলুনে আব্দুস সাত্তারকে বসা দেখে তাকে দেখিয়ে দেয়। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়েটির মাসহ উপস্থিত অন্যান্যরা সাত্তারকে ধরার চেষ্টা করলেও সে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এই সাত্তার শুক্রবার রাতে ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাড়ির পাশের জমিতে পানির সেচ দেওয়া মেশিনে পানি দিচ্ছিলো। এসময় সুযোগ পেয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি স্থানীয় মেম্বারকে জানালে, তিনি আপোষ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিশোরীর মা থানায় গিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ রাতেই আব্দুস সাত্তারকে আটক করে।
সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘বিষয়টি জানার পর পুলিশ রাতেই আব্দুস সাত্তারকে আটক করে। প্রতিবন্ধী ওই কিশোরীটিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় চলছে মামলার প্রস্তুতি।’