এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আরো পড়ুনঃ
নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব চলাকালে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে পুলিশ বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলাগুলো দায়ের করে। মামলায় আসামী করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা সাড়ে ছয় হাজার জনকে।
পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও সদর মডেল থানার ২নং ফাঁড়িতে হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে দুটি এবং জেলা সদরের মেড্ডা এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনায় এসআই মোসলেহ উদ্দিন বাদী হয়ে অপর মামলাটি দায়ের করেন। এর মধ্যে পুলিশ সুপার কার্যালয় এবং পুলিশ ফাঁড়ির মামলা দু’টিতে অজ্ঞাত পাঁচ হাজার জনকে এবং মেড্ডার মামলায় আসামী করা হয়েছে দেড় হাজার। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে আটককৃতদের মধ্যে কোনো মাদ্রাসাছাত্র আছে কি না পুলিশ সেটি জানায়নি।
প্রকাশ, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে শুক্রবার (২৬ মার্চ) বেলা তিনটা থেকে সন্ধ্যে নাগাদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সদরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধরা। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেন। এরপর শহরের কাউতলী এলাকায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গিয়েও হামলা চালান বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশ শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় আশিক (২৫) নামে এক যুবক আহত হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত আশিক জেলা সদরের দাতিয়ারা এলাকার সাগর মিয়ার পুত্র। এতিকে এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ২নং ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) নূরে আলমসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নূরে আলমকে পাঠানো হয়েছে ঢাকায়।
পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘শনিবার বেলা তিনটার দিকে মামলাগুলো নথিভুক্ত করা হয়েছে। অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষও মামলা দায়ের করবে।’