এমদাদুল হক সোহাগ:
তালা খোলার কয়েকশ চাবি, প্লাস সহ হাতে নাতে এক মহিলা চোর কে আটক করেছে বাড়ির মালিক ও এলাকাবাসী। সোমবার সন্ধ্যা পুনে ছয়টায় কুমিল্লা নগরীর ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বাগিচাগাঁও ডায়াবেটিক হাসপাতালের পেছনে সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নিলয় নামের একটি বাসার ৫ম তলা থেকে ওই মহিলা চোরকে হাতে নাতে আটক করে কোতয়ালী থানা পুলিশে সোপর্দ করে। আটক ওই মহিলার নাম ইতি। তাঁর বাড়ি কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারার জয়নগর গ্রামে। তাঁর স্মামীর নাম সোহাগ। বাড়ির মালিক ও এলাকাবাসী জানান, নিলয় নামের ওই বাসার ৫ম তলায় ভাড়া থাকেন ব্যবসায়ী অমল বাবু। গত রাতে কুমিল্লা নগরীর একটি হাসপাতালে ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীর অপারেশন হওয়ায় বাসার সবাই দরজায় তালা লাগিয়ে গত রাত থেকে হাসপাতালে অবস্থান করছিলেন। এরই সুযোগে সন্ধ্যায় বোরকা পরে ওই বাড়িতে ঢুকেন মহিলা চোর ইতি।
বিষয়টি সিসি ক্যামেরায় দেখে বাড়ির মালিক তাকে হাতে নাতে আটক করে আশপাশের লোকজন সহ এলাকাবাসীকে জানান। বিষয়টি অল্প সময়ের মধ্যে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পরে। এরপর তার ব্যাগে পাওয়া যায় কয়েকশ চাবি ও প্লাস। চুরি চেষ্টার পুরো ঘটনাটি সিসি ক্যামেরায় ধারন হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, লকডাউনের কারনে অনেক বাসায় তালা লাগিয়ে ভাড়াটিয়া ও বাড়ির মালিক গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করায় একটি চক্র তালা খুলে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে বাগিচাগাঁও এলাকার নতুন চৌধুরীপাড়া, মুন্সী তোরাব আলী সড়ক সহ কয়েকটি মহল্লায় তালা ভেঙ্গে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা হয়েছে। আটক মহিলা চোর ইতি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তিনি বাগমারা থেকে কুমিল্লা নগরীতে এসে বিভিন্ন এলাকার বাসায় কৌশলে ঢুকে তালা দেয়া ফ্ল্যাটে তাঁর কাছে থাকা চাবি দিয়ে তালা খুলে ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করেন। ফেরীওয়ালা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েকশ চাবি কিনেন তিনি। তিন মাস আগে এ পেশায় এসেছেন বলেও জানান ইতি। এলাকার বাসীর দাবি, পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত শেষে এই চোর চক্রকে যেন আটক করে।
কান্দিরপাড় পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো: নুরুল ইসলাম বলেন, তারা একটি চক্র। আটক মহিলার পরিবারের অন্য সদস্যরাও এই পেশায় জড়িত। কয়েক বছর আগে তার মাকেও একই অপরাধে আদালতের মাধ্যমে জেলে প্রেরন করা হয়। জামিনে এসে আবার তারা এসব কাজ করছেন।