কুমিল্লায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে থানায় স্ত্রীর জিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্ত্রীর দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় কারাগাভোগ শেষে জামিনে এসে ওই মামলা প্রত্যাহারের জন্য ধমকি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপকের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় ভূক্তভোগী নুজহাত তাবাসসুম ঐশী গত ১০ এপ্রিল শনিবার থানায় হাজির হয়ে তাঁর স্বামী চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ ফ্যাকাল্টির সহকারী অধ্যাপক ইফতেখার আহম্মেদ রানার বিরুদ্ধে ওই জিডি করেন। কোতয়ালী থানার জিডি নং ৪৮০।
সহকারী অধ্যাপক ইফতেখার আহম্মেদ রানা কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার পয়াত গ্রামের মো. আবদুস সাত্তারের ছেলে। তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স কাঠেরপুল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।

এর আগে আদালতে করা মামলায় গত মাসের ১২মার্চ কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স খালের পাড়ের ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন শনিবার ১৩ মার্চ তাকে আদালতে সোপর্দ করে কোতয়ালী থানা পুলিশ। আদালত তাকে জেলখানায় পাঠান। এর দুদিন পর বাদীর সাথে আপসের শর্তে জামিন পান ইফতেখার আহম্মেদ রানা।
নুজহাত তাবাসসুম ঐশীর পিতা কামাল হোসেন, বলেন জামিনে এসে কয়েকবার বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য আইনজীবীর মাধ্যমে আমাদের প্রস্তাব দেয়। আমরা তাতে সম্মতি জানাই। কিন্তু বাস্তবে বসেনি। উল্টো আমার মেয়েকে হুমকী ধমকি দিচ্ছে মামলা তুলে নেয়ার জন্য। আমার মেয়ের দাম্পত্য জীবনে তাঁর সাথে থাকা অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে। যার কারনে আমার মেয়ে থানায় জিডি করতে বাধ্য হয়েছে।

তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ২৯ মার্চ আমার মেয়ে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর ইফতেখার আহম্মেদ রানার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করে। অথচ এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ তাকে বরখাস্ত বা তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি যা অত্যন্ত দু:খ জনক।

Post Under