এমদাদুল হক সোহাগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিলঘর গ্রাম থেকে চার মাস আগে চুরি হওয়া দুটি মোবাইল সেট ও চোর কে গ্রেপ্তার করেছে কসবা থানা পুলিশ। এঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় চোরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। জানা যায়, বিলঘর গ্রামের দারোগা বাড়ির রফিকুল ইসলাম মেম্বারের ঘর থেকে এবছরের জানুয়ারি মাসের দুই তারিখ দুটি মোবাইল এবং বাড়ির পাশের মসজিদ থেকে সাউন্ডবক্স, চার্জার ফ্যান নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা চোর। এঘটনার পর কসবা থানায় জিডি করেন তিনি। সেই জিডির সূত্র ধরে প্রযুক্তির সাহায্যে পার্শ্ববর্তী দক্ষিণখার গ্রামের ইকরাম হোসেন নামের এক যুবকের কাছ থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করে কসবা থানা পুলিশ। তার তথ্য মতে আটক করা হয় কুটি ভাবনা পুকুর পাড় গ্রামের হানিফ মিস্ত্রির ছেলে হাসান কবির কে। তার স্ত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার করা অপর মোবাইল সেট। পুলিশের প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে হাসান কবির মোবাইল চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন।
বিলঘর গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, গ্রামে মোবাইল চোর বেড়ে গেছে। সুযোগ পেলেই মানুষের ঘরে ঢুকে মোবাইল, টাকা পয়সা সহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। মামলা, থানা-পুলিশ, সময় ও হয়রানি এসব কিছু চিন্তা করে এসব ঘটনায় থানায় অভিযোগের সংখ্যা খুবই কম হয়ে থাকে। মোবাইল চুরি হলেও থানায় রেকর্ড করা হয় মোবাইল হারানোর জিডি।
রফিকুল ইসলাম মেম্বার বলেন, গ্রামের অনেকেরই মোবাইল চুরি হচ্ছে। স্বাক্ষী প্রমাণ না থাকায় সন্দেহ হলেও কাউকে কিছু বলতে পারছিনা। আমার ঘর থেকে দুটি মোবাইল চুরি হয়। আমাদের আমিন নগর জামে মসজিদ থেকে সাউন্ডবক্স ও চার্জার ফ্যানও চুরি হয়। আমি থানায় শুরুতে জিডি এবং পরবর্তীতে নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছি। আশাকরি পুলিশ তদন্ত করে আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় এনে ন্যায় বিচার নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে চুরি হওয়া মোবাইলটি প্রথমে দক্ষিণখার গ্রামের এক যুবকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে অন্য মোবাইল ও চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া চোরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।