আজিজুর রহমান চৌধুরী:
অগ্নিদগ্ধ সুমাইয়া বাঁচতে চায়। সহপাঠীদের সাথে সেও খেলতে, বাড়তে, দৌড়াতে চায়। কিন্তু বিধি বাম, সে এখন মৃত্যুর প্রহর গুনছে। দিনমজুর আয়েব আলীর মেয়ে সুমাইয়া আক্তার। গত ২০এ নভেম্বর সাতসকালে রান্নাঘরে সে অগ্নিদগ্ধ হয়। প্রতিনিয়ত কাকডাকা ভোরে মা-বাবার সাথে সেও মাঠে কাজ করতে যায়। ঘটনার দিন মায়ের অবর্তমানে সে রান্না করছিল। তাড়াহুড়োর মধ্যে একসময়ে চুলার আগুন প্রথমে ওড়নায়, পরে শরীরে লেগে যায়। তার সুর-চিৎকার শুনে মা ও পাড়াপড়শি দৌড়ে এসে শরীরের কাপড় খুলে আগুন নিভায়। এরই মধ্যে তার শরীরের ৬০ভাগ অংশ আগুনে ঝলসে যায়। প্রথমে তাকে দ্রুত পার্শ্ববর্তী মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরবর্তীতে বিবাড়িয়া জেলা সদর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ডাক্তার রোগীকে ঢাকা বার্ন ইউনিটে ভর্তির পরামর্শ দিলে তার পিতা আয়েব আলী কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। অবশেষে ডাক্তারের হাতেপায়ে ধরে ভর্তি করান। ১৫দিন চিকিৎসার পর একটু উন্নত হলে ডাক্তার পুনরায় ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিংকর্তব্যবিমুঢ় পিতা প্রয়োজনীয় ঔষধপত্র নিয়ে রোগীসহ বাড়িতে চলে আসেন। মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার মত অর্থকড়ি আয়েব আলীর হাতে নেই। চিকিৎসার অভাবে রোগীর শরীরে পচনের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। এমতাবস্থায় মা মারুফা বেগম মেয়েকে বাঁচানোর জন্য সমাজের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের জন্য আকুতি জানিয়েছেন। মারুফার মোবাইল ও বিকাশ নম্বরঃ ০১৭৭৫-২২১৬২০। অন্যদিকে পিতা আয়েব আলী মেয়েকে বাঁচাতে আত্মীয়স্বজনসহ এলাকার ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।