শেখ কামাল উদ্দিন
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের পানিয়ারূপ গ্রামে উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এলাকায় শিক্ষাবিস্তার করেছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, তৎকালীন কুমিল্লা জেলার বুড়িচং-কসবা (বর্তমান কসবা, আখাউড়া, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার কৗশলী বিশিষ্ট আইনজীবী সিরাজুল হক। সীমান্তবর্তী কসবার পল্লী অঞ্চলের এ শিক্ষাঙ্গন থেকে বিদ্যার্জন করে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করেন অনেকেই। তাঁর ইন্তেকালের পর স্বীয় সহধর্মিণী রত্নগর্ভা মহীয়সী নারী জাহানারা হক বিদ্যালয়টির উত্তরোত্তর উন্নয়ন সাধন করেন। এরই ধারাবাহিকতায় তাঁদেরই সুযোগ্য সন্তান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এম পি বিদ্যালয়টিকে কলেজ পর্যায়ে উন্নীত করেন। এর অবকাঠামোগত উন্নয়নে স্বীয় স্নেহাস্পদ কনিষ্ঠ ভ্রাতা ‘মরহুম আরিফুল হক রনি’ ৬ তলা বিশিষ্ট একাডেমি ভবন নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা করেন। স্কুল এন্ড কলেজ কমিটির সভাপতি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণাধীন ভবনের ২য় তলার ছাদ ঢালাই চলছে। উক্ত ভবনটি নির্মান করার জন্য স্কুল এন্ড কলেজ এর পরিচালনা কমিটি পক্ষ থেকে মাননীয় মন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক এমপি মহোদয়কে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানানো হয়। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য আবদুল মতিন ভূইয়াকে সিরাজুল হক স্কুল এন্ড কলেজ এর পরিচালনা কমিটি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা হয়।
আরো পড়ুনঃ
প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সভায় বিদৗ’সাহী সদস্য কাজী আমিনুর রহমান ভবনসমূহের নাম মন্ত্রী মহদয়ের পরিবারের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরে নামে নামকরণের প্রস্তাব করলে সভায় সর্বসম্মতক্রমে সিদ্ধান্ত হয়। মন্ত্রী মহোদয়ের পিতা সিরাজুল হক স্কুল এন্ড কলেজ, মাতা মরহুম জাহানারা হক এর নামে জাহানারা হক একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। স্ত্রী মরহুম নূর আমাতুল্লাহ রিনা হক এর নামে একাডেমিক ভবন, (১ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন ৪ তলা ভবনের ৩ তলার ছাদ ঢালাইর কাজ চলছে); ভাই মরহুম আরিফুল হক রনি প্রশাসনিক ভবন, ৬ তলা বিশিষ্ট ভবনের ৩য় তলার ছাদ ঢালাইর কাজ চলমান, বোন মরহুম সায়মা ইসলাম একাডেমিক ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
এখানে একটি অত্যাধুনিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠা করা হবে। যেখানে কসবা উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার ব্যসব্থা থাকবে। অন্যান্য উন্নয়ন কাজে যথারীতি অব্যাহত রয়েছে।