মোহাম্মদ শাখাওয়াৎ হোসাইন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বিদ্যানগর গ্রামে আজ রোববার দুপুরে মৌমাছির কামড়ে সহিদুর রহমান মৈশান ৬২ নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে পুরো এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। নিহতের লাশ আজ রোববার বিকালে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহত সহিদুর রহমান মৈশান কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বিদ্যানগর অস্টজংগল গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বায়েক ইউনিয়নের শেরেবাংলা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রোজিনা বেগম আজ রোববার সকালে বিদ্যালয়ের রওয়ানা করেন। বিদ্যালয়ের যাওয়ার রাস্তায় একটি মৌমাছির দল রোজিনা বেগমকে কামড় দিতে থাকেন। এ সময় তিনি চিৎকার করতে থাকেন। পাশেই জমিতে কাজ করতে ছিলেন সহিদুর রহমান মৈশান দৌড়ে এসে ওই স্কুল শিক্ষিকাকে উদ্ধার করলেও তিনি রক্ষা পাননি। এ সময় তাকেও মৌমাছি কামড়াতে শুরু করে। তিনি বাড়ির দিকে দৌড়াতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বাড়ির লোকজন দৌড়ে এসে তাকে উদ্ধার করলেও তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। বায়েক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মৌমাছির কামড়ে স্কুলের শিক্ষিকাকে রক্ষা করতে গিয়ে তিনিও মৌমাছির কামড়ে দৌড়ে বাচতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন।