এমদাদুল হক সোহাগ:
অস্থায়ী পূজা মন্ডপে হনুমানের পায়ের উপর পবিত্র কোরআন রেখে কৌশলে ধর্ম অবমাননার উস্কানি দিয়ে কুমিল্লায় বিভিন্ন মন্দিরে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ সহ কুমিল্লার শত বছরের ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করার গভীর চক্রান্তের নিন্দা জানিয়েছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। তিনি পবিত্র ওমরা হজ্ব পালন শেষে কুমিল্লায় এসেই ক্ষতিগ্রস্ত পূজা মন্ডপ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে ছুটে যান। এসময় তিনি দু:খ প্রকাশ করে উপস্থিত সাংবাদিকেদের বলেন, যারা এই অপকর্মের সাথে যুক্ত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা। প্রত্যেককে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, সকল ধর্মের মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমেই বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মানের স্বপ্ন দেখেছেন। কাপড়িয়া পট্টির শ্রী শ্রী চাঁন্দমনি রক্ষাকালী মন্দির সংলগ্ন বাসিন্দাদের সাথে তিনি বলেন, আমি কুমিল্লায় ছিলামনা বলে এমটি ঘটিয়েছে। আমি চলে এসেছি এখন আর আপনাদের কোন ভয় নেই ইনশাল্লাহ। আমাদের আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ ও পুলিশ প্রশাসন যখন মাঠে নেমেছে তখন আর তারা টিকতে পারেনি। ঘটনার অল্প সময়ের মধ্যে তারা নৈরাজ্য চালিয়েছে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শুরুতে নগরীর নানুয়া দিঘীর পাড়, পরবর্তীতে কাপড়িয়া পট্টির শ্রী শ্রী চাঁন্দমনি রক্ষাকালী মন্দির, রাজগঞ্জ বজ্রপুর সড়কের মন্দির, ঠাকুরপাড়া কালী মন্দির এবং উনাইসার হিন্দুপাড়ার শ্যামা কালী মন্দির পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত ও আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের সাথে কথা বলেন। তিনি বলেন, মন্দিরে হামলা করে যেসব ক্ষতি করা হয়েছে সেগুলোকে আর্থিক অনুদান ও পুণ:নির্মান করে দেওয়া হবে।
এসময় বিশাল গাড়ি ও মোটরসাইকেল বহর যুক্ত হয় এমপি বাহারের সাথে। এমপি বাহারের সাথে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত, কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের আহবায়ক নিতিশ সাহা, অতিরিক্ত পলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার, কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ারুল আজীম সহ কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, মহানগর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।