কাতিব হাসান মুরাদ, কুবি প্রতিনিধি:
বিদ্যুৎ-পানি সংকট, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের এক ইঞ্জিনিয়ারকে সবার সামনে মাফ চাওয়া সহ সহ আরো ৬ টি সমস্যা সমাধানের দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্যের বাসভবন অবরোধ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আন্দোলন চলছে।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় তারা উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় দীর্ঘ জ্যামের সৃষ্টি হয়।
অবরোধ চলাকালে শিক্ষার্থীরা সড়কের দু’পাশের গাড়ি আটকে তাদের বালতি, বোতল ইত্যাদি তৈজসপত্র বাজিয়ে ‘নবাববাড়ি অন্ধকার ভিসির বাড়িতে লাইট জ্বলে’, ‘নবাববাড়ি কেন রাজপথে, জবাব চাই, জবাব চাই’, ‘প্রশাসন ধিক্কার, ধিক্কার’ স্লোগান দিতে দেখা যায়।
তাদের দাবিগুলো হলো- পানি সমস্যা, বাসস্থান সমস্যা, ওয়াইফাই স্প্রিড গতি বাড়ানো, হলে ক্যান্টিন ব্যবস্থা, খাবারের নিম্নমান, খাবারে ভর্তুকি এবং বর্তমানের দ্রুত বিদ্যুৎহীন পরিস্থিতি ঠিক করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জাকির হোসেনকে সবার সামনে এসে বিচার চাইতে হবে।
আরো পড়ুনঃ
সার্বিক বিষয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে কনক ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন,
আমাদের দাবি যতক্ষন আদায় না হবে আমরা মাঠ ছাড়ছি না। উপাচার্য স্যারের সাথে কথা বলেছি কিন্তু আমাদের সমস্যার কোন সুনির্দিষ্ট সমাধান দিতে পারেনি। তাই আন্দোলন চলছে, চলবে।
তিনি আরো বলেন, ইঞ্জিনিয়ার দপ্তরের জাকিরকে এসে সবার সামনে মাফ চাইতে হবে। ওনাকে আমরা আমাদের সমস্যার কথা জানালে উনি সমাধানের চেষ্টা না করে উল্টো আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। এর আগেও আমরা তার দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, শিক্ষার্থীদের হলে বিদ্যুৎ থাকবেনা এটা ভাবা যায় না। এটা খুবই বাজে পরিস্থিতি। আমার বাংলোতেও বিদ্যুৎ ছিল না, আইপিএসে শুধু লাইট জলে। আমি নিজেও শাওয়ার নিতে পারিনি। আর অফিসিয়াল বিভিন্ন কাজও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমি চিপ ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলেছি, এটা দ্রুত সমাধানে কাজ করছে তারা। আর আমরা বিদ্যুতের আরেকটা লাইন তৈরির কাজ করতে পারি কিনা তা নিয়েও দেখবো।
উল্লেখ্য, গত ১৬ মার্চ রাত থেকে মেয়েদের নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল, ছেলেদের বঙ্গবন্ধু হলের পুরাতন অংশ, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হল, উপাচার্যের বাসভবন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ডরমিটরিসহ প্রায় সকল ভবনেই বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়। একই কারণে সৃষ্টি হয়েছে পানির সংকট, পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে ওয়াইফাই সংযোগ। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তারা।