কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি \
কসবায় আগামী এক মাসের মধ্যে সীমান্ত হাটের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে সীমান্ত হাট খোলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দু‘দেশের এডিএম পর্যারে বৈঠকে। মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে দু’দেশের প্রতিনিধি দল বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
জানা যায়, ২০১৫ সালের ১১ জুন কসবা সীমান্তের তারাপুর-কমলাসাগর সীমান্ত হাটটি ভার্চুয়ালী দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী যথাক্রমে নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। মহামারী করোনায় ২০২০ সালে এ হাটটি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে বর্ডার হাট খোলে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার জনগনের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। দীর্ঘ তিন বছর তিন মাস এ হাট বন্ধ থাকায় এর সীমানা বেড়া, দোকানপাট অফিস দেয়াল নষ্ট হয়ে ঝোপঝাড়ে পরিণত হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীন। অপরদিকে ৭ সদস্য বিশিষ্ট ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সিপাহীজলা জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জয়ন্ত দে। দীর্ঘ তিন ঘন্টাব্যাপী বৈঠক শেষে প্রেস ব্রিফিং করেন দুদেশের প্রতিনিধি দল। তারা জানান আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে। আগামী ১৪ জুন দুদেশের ইঞ্জিনিয়ার এসে সীমান্তহাটের ক্ষতিগ্রস্থ অবকাঠামো পুননির্মানের কাজ শুরু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারা আরও জানান, আগামী এক মাসের মধ্যে সীমান্ত হাটের যাবতীয় সমস্যা সমাধান করে সীমান্ত হাট খোলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলকে ৯ ক্যারেট আনারস ও ত্রিপুরা হস্তশিল্প উপহার দেন।