কসবায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ নিবাসে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

কসবা ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে মেঘলা আক্তার (১৬) নামক এক কিশোরী গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার প্রবাসী স্বামী। সোমবার (১০ জুলাই) সকালে কসবা পৌর এলাকার কালিকাপুর প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ নিবাসে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক। নিহত মেঘলা আক্তার কসবা পৌর এলাকার কালিকাপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি আলমগীর হোসেনের মেয়ে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
নিহতের বাবা আলমগীর হোসেন জানান, প্রায় দুই বছর পূর্বে তিনি চট্টগ্রামে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। চট্টগ্রাম থাকাকালিন সময়ে তার মেয়ে মেঘলা আক্তার প্রেম করে নোয়াখালী জেলার মাইজদী কোট এলাকার নাঈম মিয়াকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার মেয়েকে ছেলের বাড়ি মাইজদীতে নিয়ে গেলে শ্বশুর শাশুড়ীp টাকা পয়সার জন্য তাকে নির্যাতন করত। কয়েক মাস সংসার করে তার মেয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। পরে জানতে পারেন তার মেয়ের জামাই সৌদি আরব চলে গেছেন। মেঘলার স্বামী কিছুদিন পূর্বে প্রবাস থেকে দেশে ফিরেন এবং স্ত্রীকে তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যাবেন বলে চারদিন আগে কসবায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এরই মধ্যে সোমবার সকালে আমলগীর হোসেন বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলে মেঘলা ও নাঈমের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং একপর্যায়ে নাঈম মেঘলাকে বেদড়ক কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় । খবর পেয়ে মেঘলার বাবা ও আশপাশের লোকজন তাকে মূমুর্ষু অবস্থায় কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মেঘলা মারা যায়।

খবর পেয়ে কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. রাশেদুল কাওসার উূইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিমুল এহসান খান, কসবা পৌর মেয়র এম. জি হাক্কানী ও কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, মেঘলা আক্তার নামে এক কিশোরী গৃহবধু খুন হয়েছে। তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহতের বাবা আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Post Under