কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
বিএনপি নির্বাচন করতে চায় না, তারা চায় পূর্ব অভিজ্ঞতার ন্যায় পেছনের দরজা দিয়ে কারোর সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন কমিশনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রনে নির্বাচন হবে। কেয়ারকেটার গভর্নমেন্ট আর হবে না। বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্ট রায় দিয়ে বলেছে কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট সম্পূর্ণ অবৈধ। পার্লামেন্ট আইন পাশ করে সংবিধান থেকে এটা বের করে দিয়েছে, সেখানে আর ফিরে যাওয়া যাবে না। আজ শুক্রবার দুপুরে খাড়েরা ইউনিয়ন আওযামী লীগের সভাপতি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়ার বাড়িতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর বিশেষ বর্ধিত সভায় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য আনিসুল হক এসব কথা বলেছেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের ভালো চায় না। তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। নয়-ছয় পনের বছর ক্ষমতায় থেকে দেশ চালিয়েছে। কিন্তু জাতির পিতার হত্যার যাতে বিচার না হয় সেজন্য আইন করেছে এবং তাদেরকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা ১৯৪৮ সাল থেকে শুরু করে কারো সঙ্গে আতাত-আপোষ না করে বাংলাদের জনগনের স্বার্থ রক্ষা করেছেন। পাকিস্তানের ইয়াহিয়া- আইয়ুব খানের সাথে বঙ্গবন্ধু ছাড়া সবাই আতাত করেছে। আপনারা ইতিহাস দেখেন তারা সকলেই আপোষ করার চেষ্টা করেছে এবং আপোষ করেছে। উনাকে আপোষের কথা বলা হয়েছে উনি বলেছেন জেলখানায় যেতে রাজী আছি, তবুও আপোষ করব না। তারা সবাই মিলে জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। এখন তারা চেষ্টা করছে যাতে বাংলাদেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়। তারা চেষ্টা করছেন বংলাদেশের গ্যাস বিক্রি করে দিতে এবং চেষ্টা করছে জননেত্রি শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। আমরা ভুলে যাই নাই যে এ ষড়যন্ত্র তারা করবেই।
মন্ত্রী বলেন, প্রধান মন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার। তিনি বাংলাদেশকে তাদের সৃষ্টি করা তলাবিহিন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের রোল মডেলে পৌছে দিয়েছেন। মন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে বড় বড় শত্রুর মোকাবেলা করতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আপনারা ঐক্যবদ্ধ ভাবে জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবেন। তিনি বলেন, জননেত্রি শেখ হাসিনার ছাড়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে বাংলাদেশ আবার নৈরাজ্যের দেশ হয়ে যাবে। আমরা আর ঐ অবস্থায় ফিরে যাব না। বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেলে উঠে গেছে। এ ধারা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে জননেত্রীর শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান, এরশাদ ও খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিল তারা একটি মডেল মসজীদও করে নাই। অথচ তারা ধর্মের কথা বলে কাত-চিৎ হয়ে যায়। তারা বলত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ওলুধ্বনি পড়বে। অথচ জননেত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজীদ নির্মাণ করেছেন। তিনি আরো বলেন, গতকাল আখাউড়া-লাকসাম রেলের ডাবল লাইন উদ্বোধন হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন চালু করা হবে। এখন পাঁচ ঘন্টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেনে যাতায়ত করা যায়।
খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আবদুল্লাহ ভূইয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মীর হেলালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, মো, আনিছুল হক ভূইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এম.এ আজিজ, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন, কসবা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি যুবলীগ মো. শফিকুল ইসলাম, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. কবির আহাম্মদ খান, আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুবুর রহমান, খাড়েরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ আহবায়ক বাছির মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক আবদুর ররহমান প্রমুখ।
এর আগে আইনমন্ত্রী ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে সকাল সাড়ে ১০টায় আখাউড়া এসে পৌঁছেন। পরে সড়ক পথে কসবা উপজেলার খাড়েরা মোহাম্মদীয় উচ্চবিদ্যালয় ও খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিচলনা পর্ষদের সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন। বিকালে তিনি কসবা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তেতৈয়া ফুলতলী গ্রামবাসীর উদ্যোগে এডভোকেট সিরাজুল হক মোটর সাইকেল ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করে পুরস্কার বিতরন করবেন।