কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
বিএনপি-জামাত-সিভিল সোসাইটি সকলেই বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে, বঙ্গবন্ধু কন্যার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা বাংলার মানুষকে যে কথা দিয়েছেন, যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, সেই স্বপ্ন তিনি পুরন করে দেখিয়েছেন। পদ্মা সেতু বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেল, কর্ণফুলি নদীর উপর সেতু বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের কথা বলেন এগুলি কিন্তু আমাদের চিন্তার বাহিরে ছিল। বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে তিনি বলেছেন বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। তিনি তা করে দিয়ে দেখিয়েছেন। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাত বলেছিল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মসজিদে উলুধ্বনি হবে। তারা কিন্তু একটা মসজিদও সুন্দর করে বানাতে পারে নাই। অথচ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ বানিয়েছেন। বিএনপি-জামাত বাংলাদেশকে কোনদিন সম্মান এনে দিতে পারে নাই। মন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছেন। বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। দেশকে অন্য মাত্রায় পৌছে দিয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে, বাংলাদেশের মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাতের মুখে কোনদিন একটা পরিকল্পনার কথা শুনেছেন যে আমরা এমন একটা পরিকল্পনা নিলাম, এত দিনের মধ্যে আমরা স্বপ্লোন্নত দেশ হবে, মধ্যম আয়ের দেশ হব অথবা উন্নত দেশ হব। না, ২১০০ সালের মধ্যে একটা পরিকল্পনা ছিল। বিএনপি-জামাত এমন পরিকল্পনার কথা বলেছেন কেউ যদি বলতে পারেন তবে আমি তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দিব। তারা পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়েছিল। তারপর এটাও তারা ছেড়ে দিয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আপনারা সকলেই জানেন উনাদের সময় বাংলাদেশ বিশে^ পরিচিত ছিল মিসকিনের দেশ ও তলাবিহীন ঝুড়ি হিসাবে। যতই ঢালবেন ইহা আর ভরবে না। উনারা প্যারিসে কত টাকা ভিক্ষা দিবে তার উপর বাংলাদেশের বাজেট হত। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তার দেশের নিজের টাকায় বাজেট দিচ্ছেন।
আইনমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা জানেন জননেত্রী শেখ হাসিনা কসবার মানুষকে অনেক সম্মান দিয়েছেন। আপনারা স্বীকার করবেন যে, তিনি আমাকে আপনাদের প্রতিনিধি হিসাবে মনোনয়ন দেওয়ার পরে আমি নিবাচিত হওয়ার পর তিনি স্বয়ং আপনাদের অনেক উন্নয়ন করেছন। আসুন আমরা সকলে এক্যবদ্ধ হয়ে ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেই।
কসবা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক রুস্তম খাঁর সঞ্চালনায় কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও কসবা পৌর মেয়র মো. গোলাম হাক্কানীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভুইয়া, কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিমুল এহসান খান, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আবদুল আজিজ, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন ভুইয়া, মো. যুবরাজ মিয়া, কুটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান স্বপন, কসবা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার মো. শহিদুল্লাহ, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. সোলেমান খান, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহŸায়ক আফজাল হোসেন প্রমুখ। বক্তব্য রাখেন কসবা পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান মানিক, কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাাদক মো. মিলন মিয়া ও এডভোকেট আব্দুল্লাহ।