এমদাদুল হক সোহাগ:
অসহায় খেটে খাওয়া মানুষ, মানুষের বাসায় কাজ করে সংসার চালান এমন নারী-পুরুষ, রিক্সা চালক, ভিক্ষুক, বিভিন্ন উপজেলা, জেলা ও বিভাগ থেকে কুমিল্লা শহরে থাকেন এমন ভাসমান মানুষের ঈদের আনন্দ বাড়াতে অন্যতম ভরসাস্থল কুমিল্লার এমপি বাহার।
প্রতি বছরই তাদের কথা চিন্তা করে শাড়ি, লুঙ্গি, নগদ টাকা ও থ্রিপিছের ব্যবস্থা করে থাকেন তিনি। এই উপহার বিতরণের সময় প্রশ্ন খোঁজা হয়না তারা কুমিল্লা শহরের বা কুমিল্লা-৬ আসনের ভোটার কিনা। যারাই আসছেন তারাই নিতে পারছেন এসব উপহার। তবে অনেক সময় একজন দুইবার কিংবা তিনবারও আসছেন এসব উপহার সামগ্রী নিতে এতে করে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। শৃঙ্খলা রাখতে শুক্রবার পুলিশের সহায়তা নিতে হয়েছে।
শুক্রবার ১৪ এপ্রিল, পহেলা বৈশাখে প্রায় পাঁচ হাজার নারী পুরুষকে শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিছ বিতরণ করেছেন। পুরো রমজান মাসেই যাকাতের নগদ টাকা বিতরণ করা হয় এমপি বাহরের পক্ষ থেকে। তবে বিশ রোজার পর প্রায় প্রতিদিনই কুমিল্লা নগরীর মুন্সেফ বাড়িতে ভিড় করেন অসহায় মানুষগুলো। শুধু একটি ভালো কাপড়ের জন্য অনেক দূর থেকেও চলে আসেন নির্ভাবনায়। এমপি বাহারও তাদের নিরাশ করেন না। খালি হাতে যেন না যায়, সেজন্য চেষ্টা করেন তিনি।
অপর দিকে তাঁর নির্বাচনী আসনের গরীব অসহায় নেতাকর্মীদের জন্যও তিনি ভরসার জায়গা। ঈদ সামগ্রী কেনার জন্য এবং পরিবার পরিজন নিয়ে যাতে সুন্দর করে ঈদ করতে পারে এসব মানুষের জন্য এমপি বাহারের অফিসের দরজা সার্বক্ষণিক খোলা সহ হাত থাকে একবারেই নিবেদিত। ওয়ার্ড ভিত্তিক নেতাকর্মীদের ডেকে ডেকে তিনি ঈদ বোনাস দিয়ে থাকেন। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের জন্য দিয়ে থাকেন উপহার। এ যেন অলিখিত নিয়ম। এমন কর্মী বান্ধব নেতা যেমন খোঁজে পাওয়া কঠিন অপর দিকেই কর্মীরাও প্রয়োজনে এমন নেতার জন্য রাজপথে জীবন দিতে প্রস্তুত থাকে।
শুক্রবার নতুন লুঙ্গি পেয়ে কয়েকজন বলেন, আমরা প্রতিবছরের সাবের লুঙ্গি, শাড়ি ও নগদ টাকা পাই। এবছরও পাইলাম। আমরা অনেক খুশী। তিনি গরীব মানুষকে ভালোবাসেন, আমরার মতো গরীবের চিন্তা করেন। আল্লাহ উনাকে বাঁচিয়ে রাখুক।
বৃদ্ধ আছিয়া খাতুন মেয়ে, নাতনিকে নিয়ে এসছেন ঈদের কাপড় নিতে। তিনজই কাপর পেয়ে খুব খুশী। বললেন ঈদ ভালো কাটবে তাঁদের।