কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের ঐতিহাসিক জিয়া বিলের ধান কাটা মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) নির্বাচনী এলাকার গণমানুষের নেতা আলহাজ্ব কবির আহমেদ ভূঁইয়া।
ঐতিহাসিক এই বিলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের কৃষি ও ঐতিহ্যের দীর্ঘ ইতিহাস। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তার শাসনামলে উপজেলার মান্দারপুরে খাল খনন করেছিলেন। খালের পানি ব্যবহার করে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজে খাল কেটে এই বিলের উদ্বোধন করেছিলেন তিনি। তার এই পদক্ষেপ শুধু একটি খাল খননের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না বরং এটি কৃষকদের জন্য একটি প্রেরণার উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর স্মরণে স্থানীয় জনগণ খালটির নামকরণ করেন ‘জিয়া খাল’ এবং বিলটির নাম হয় ‘জিয়া বিল’। তবে কালের বিবর্তনে এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খালটির একটি বড় অংশ ভরাট হয়ে যায়, যা সেচ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই ঐতিহাসিক স্থানের পুনরুজ্জীবন এবং কৃষকদের মধ্যে নতুন উদ্যম জাগানোর জন্য ধান কাটার এই কার্যক্রম শুরু হয়।
আজকের অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম, স্থানীয় কৃষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম, জেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব জিল্লুর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল হক স্বপন, কসবা পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সদস্য সচিব মো. আইয়ুম খান, উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন, বাদৈর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
কবির আহমেদ ভূঁইয়া তার বক্তব্যে বলেন, “জিয়া বিল শুধু একটি বিল নয়, এটি আমাদের ইতিহাসের অংশ। কৃষি উন্নয়নের পাশাপাশি এটি আমাদের ঐতিহ্যের প্রতীক। আমরা এই বিলকে নতুন জীবন দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কৃষকদের জন্য এটি শুধু অর্থনৈতিক নয়, আবেগেরও প্রতীক।”
ধান কাটা উদ্বোধনের সময় স্থানীয় কৃষকরা জানান, জিয়া খালটি পুনঃখনন করা হলে এলাকার সেচ ব্যবস্থায় ব্যাপক উন্নতি হবে। বিলটির উর্বরতা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং ফসল উৎপাদন অনেকগুণ বেড়ে যাবে।