মোহাম্মদ শাখাওয়াৎ হোসাইন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সাত ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ৩১ জানুয়ারি। ভোট হবে দলীয় প্রতীক বিহীন ইভিএমএ। এ উপলক্ষে আজ শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কসবা মহিলা ডিগ্রী করেজ মাঠে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিশেষ আইন শৃংখলা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কসবা মহিলা কলেজ মাঠে এ বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম সভায় সভাপত্বি করেন। সভায় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বক্তারা আচরণবিধি ভঙ্গকারীদের লাল কার্ড দেখিয়ে দেওয়ার হুশিয়ারি করেছেন।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুদ উল আলমের সঞ্চালনায় নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে উৎসব মুখর পরিবেশে সুষ্ঠ ভাবে ভোট গ্রহণের বিভিন্ন দিক নিয়ে হিসাবে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক (সিও) রাফি উদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান, কসবা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাহিদ হাসান, আনসার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া। এসময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত আসনের সদস্য ও সাধারণ আসনের সদস্যসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম বলেন, করোনা চলছে। নির্বাচনে আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন। তিনি বলেন, ৩২টি আচরণ বিধি আছে প্রত্যেকটি সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। আপানারা জানেন এটি আইন মন্ত্রী আনিসুল হক মহোদয়ের এলাকা। এখানে কোন দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে না। এখানে আইন শৃংখলা বিঘœ ঘটলে এর দায় দায়িত্ব আপনার আমার সকলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনে আজ থেকে আচরণবিধি মানবেন, না মানলে আমরা আচরণবিধি আপনাদের শিখাবো, মানতে বাধ্য করব। তিনি বলেন, ভোটার, প্রার্থী ও রেফারী এ তিনটি পক্ষ মাঠে থাকবে। তিনি বলেন, প্রশাসন রেফারীর দায়িত্ব পালন করবে। আমরা নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন করব। কেউ আচরণবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক (সিও) রাফি উদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, উৎসব মুখর পরিবেশে ৩১ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক রাখা আমাদের দায়িত্ব। কেউ নির্বাচন নিয়ে কোন ধরনের গুজব সৃষ্টি করবেন না। কেউ যদি গুজব সৃষ্টি করেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ৩১ জানুয়ারি খেলায় লাল কার্ড, হলুদ কার্ড দুটিই থাকবে।
আগামী ৩১ জানুয়ারি কসবা উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে ইভিএমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫০জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৬জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ২৩২জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে কসবা পশ্চিম ইউনিয়নে ১০জন, কাইমপুর ইউনিয়নে দুইজন, গোপীনাথপুর ইউনিয়নে সাতজন, বাদৈর ইউনিয়নে পাঁচজন, বায়েক ইউনিয়নে সাতজন, বিনাউটি ইউনিয়নে ১০জন এবং মেহারী ইউনিয়নে নয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ইভিএমে ভোট হবে।