কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট মিথ্যা জন্মদিন পালন করে। তার এ মিথ্যা জন্মদিন বাংলাদেশকে কলংকিত করেছে। এ মিথ্যা জন্মদিনের জন্য ঘৃণায় থুতু দেওয়া উচিত। মিথ্যা জন্মদিনে বাংলাদেশের কোন মানুষ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি বলে তখন তারা আগস্ট মাসে দলীয় কার্যক্রমের নামে আমাদেরকে গালিগালাজ করবে তা আমরা যেন শুনি। আমরা তা করতে দেব না। জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর মুক্ত মঞ্চে উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি বক্তব্যে এ কথাগুলি বলেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য আনিসুল হক।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করা যাবে না, বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা স্বীকার করেই রাজনীতি করতে হবে। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ অবিচ্ছে¡দ্য ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু আপোষহীন থেকে নিজের উপর জুলুম সহ্য করে দেশ স্বাধীন করেছেন। সেই জাতির পিতাসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের খুন করেছে। যেই অপশক্তি বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকেই হত্যা করতে চেয়েছিল। সেই অপশক্তি আবারও মাথা চারা দিয়ে উঠার চেষ্টা করছে।
মন্ত্রী বলেন, সামরিক শাসক এরশাদ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাষ্ট্রপতির নির্বাচন করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন এবং তাদেরকে দল গঠন করার সুযোগ দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে বেগম খালেদা জিয়া ভোটার বিহীন ভূয়া নির্বাচন করে জোর করে নির্বাচন করে নিজেকে নির্বাচিত ঘোষনা করে এবং বিরোধী দলীয় নেতা বানিয়েছিল বঙ্গবন্ধুর অন্য এক খুনিকে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ঢাকায় বসে বলেছেন কসবায় রাজনৈতিক ভাবে দুই বিএনপির নেতাকে গ্রেপ্তার করে হয়রানী করেছে। তিনি মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। কসবায় খবর নিয়ে জানলাম এরা দুইজনই দাগী আসামী। একজনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা রয়েছেন। অন্য একজন ২০২২ সালে জায়াগা জমি নিয়ে চাদাঁবাজীর মামলায় জড়িত। তাদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ খুজে পাইতেছিল না। পরে পুলিশ খুজে পাওয়ায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। এটি কোন রাজনৈতিক মামলা নয়। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ কোন দেওলিয়া হয়ে যায়নি যে বিএনপিকে রাজনৈতিক ভাবে হয়রানী করে আওয়ামীলীগের রাজনীতি করতে হবে। আওয়ামীলীগ রাজনীতি করে জনগনের জন্য। আর সেই জনগন আওয়ামীলীগের সাথে রয়েছে।
কসবা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি এম.এ আজিজের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. সফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া, কসবা পৌরভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আজহারুল ইসলাম, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. এমরান উদ্দিন, কসবা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, কসবা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রুস্তম খা, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মো. আফজাল হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক কাজী মানিক, মো. আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।