কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় কসবা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও কসবা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের অদক্ষতায় লটারিতে উত্তীর্ণ ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী ভর্তিতে জটিলতা দেখা দেয়। অবশেষে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভর্তি কমিটির সভাপতি মাসুদ উল আলমের হস্তক্ষেপে একদিন পরে গতকাল রোববার ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র ভর্তির ফলাফল লটারিতে প্রকাশ করা হয়। মাউশি কর্তৃক ১৮ ডিসেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বর এর মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্নের নির্দেশনা দিলেও ওই দু’টি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেননি।
এদিকে গতকাল রোববার সরেজমিনে ওই দুটি বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, একদিন অপেক্ষার পর শিক্ষার্থীরা তাদের নির্ধারিত বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে আনন্দ উল্লাস করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাউশি’র নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি শাখায় ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির নিয়ম থাকলেও কসবা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ১২০ জন শিক্ষার্থী ও কসবা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ৯০জন শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে। ওই দুই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাউশি থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে দ্বিতীয় শাখার অনুমোদনও নেয়নি। ভর্তি কমিটির সভাপতি কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম ওই দু’টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার বিষয়ে কারন জানতে চেয়ে নোটিশ প্রদান করেন। কারন দর্শানোর চিঠি পাওয়ার একদিন পর সরকারি ওই দুই বিদ্যালয়ে শিক্ষাথী ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম গতকাল রোববার দুপুরে জানান, কসবা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও কসবা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাউশি’র অনুমোদন ছাড়া দু’টি শাখা সৃষ্টি করে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ নেয়। মাউশি’র নিয়মানুযায়ী ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ৬০জন শিক্ষার্থী ভর্তির নির্দেশনা রয়েছে। শিক্ষার্থী ভর্তি না করার কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি।
ইউএনও মাসুদ উল আলম আরো বলেন, এই বিষয়ে বিদ্যালয় দু’টিতে মাউশি কর্তৃক দ্বিতীয় শাখা খোলার অনুমোদন ও অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন রয়েছে কিনা তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় প্রধানদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ নেই।