কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আজ বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) “পুষ্টি, মেধা, দারিদ্র বিমোচন-প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর আয়োজন” এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। কসবা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্জীব সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড. রাশেদুল কাওসার ভূইয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কসবা পৌর সভার মেয়র এম জি হাক্কানী, কসবা উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা সিদ্দিকী, কসবা উপজেলা কৃষি অফিসার হাজেরা বেগম, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. আবদুল হান্নান, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম চৌধুরী, অপরাধপত্র পত্রিকার সম্পাদক হারুনুর রশিদ ঢালি, কসবা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মানিক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন কসবা উপজেলা প্রাণিসম্পদক কর্মকর্তা ডা. তারেক মাহমুদ। এসময় প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী খামারী, স্থানীয় সাংবাদিক, প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী খামারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কসবায় প্রাণিসম্পদক অফিসের মাধ্যমে সরকারের ২১টি প্রকল্প চলমান। তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা আমাদের দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা ও দারিদ্র বিমোচন করতে পারি।
কসবা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তারেক মাহমুদ বলেন, কসবায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০ খামারীদের প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ দুধ, মাংশ ও ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কসবায় প্রতিদিন ৮০ থেকে ৮৫ হাজার ডিমের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ডিম উৎপাদন হয়।
অনুষ্ঠানে খামারীদের পক্ষে বাংলাদেশ পোল্ট্রী এসোসিয়েশন এর কসবা শাখার সাধারণ সম্পাদক জি এম ইকবাল ও বাংলাদেশ ডেয়রী এসোসিয়েশন কসবা শাখার সভাপতি মানিক পাঠান বক্তব্য প্রদান করেন। এক প্রতিক্রিয়ায় জি এম ইকবাল বলেন, এবার বাজেটের পূর্বে ও পরে দুই দফায় টন প্রতি প্রায় ৪ হাজার টাকা পোল্ট্রী ফিডের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে আমাদের লোকসান গুণতে হচ্ছে। তিনি সরকারের নিকট ফিডের মূল্য কমানোর আহ্বান জানান।
প্রদর্শনীতে ২৫টি স্টল অংশগ্রহণ করে। এতে খামারীরা তাদের খামারের সেরা প্রাণি ও পাখিদের প্রদর্শন করেন। আমন্ত্রিত অতিথিরা তাদের স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন। আলোচনা সভা শেষে অংশগ্রহণকারী খামারীদের মধ্যে লার্জ, স্মল ও অর্নামেন্টাল এই তিনটি ক্যাটাগরিতে মোট ৯ জনকে নগদ অর্থ পুরস্কার ও সনদ প্রদান করা হয়।