এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে ইঙ্গিত করে রেলমন্ত্রী বলেছেন, কারো কোনো গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ শনিবার কুমিল্লার নাঙ্গলকোট তেজের বাজারে বিজয় এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের নিরাপদ রেল যাত্রা নিশ্চিত করতে চায়। এ কারণে কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় কারো কোনো গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন আমি যা বুঝার বুঝে গেছি। দুর্বল স্লিপার দেখা গেছে। এখানে মেইনটেন্যান্সের ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে। এ ব্যাপাটাও আমরা খতিয়ে দেখব।
রেলের ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ঈদের আগে রেলের ভাড়া বাড়ানো হবে না। ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে আরও আলোচনা হচ্ছে।
এ সময় জাতীয় সংসদের রেলপথ বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলুল করিম চৌধুরীসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সদস্য, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, ১৭ মার্চ দুপুর ১১টা ৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বিজয় এক্সপ্রেস। দুপুর পৌনে ২টায় নাঙ্গলকোটের হাসানপুরে পৌঁছালে তেজের বাজার এলাকায় বগি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ট্রেনের ইঞ্জিন। ১৫ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে পরদিন ভোর ৫টায় চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
নিরবচ্ছিন্ন কাজ করে চার দিন পর সম্পূর্ণ উদ্ধার কাজ শেষ করে রেলওয়ে। এই ঘটনায় নাশকতার অভিযোগে লাকসাম রেলওয়ে থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করা হয়। এই মামলায় চার জন ১৮ বছরের কম বয়সীকে গ্রেপ্তার করা হয়।