কুমিল্লার-১০ নির্বাচনী এলাকার লালমাই উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের গৈয়ারভাঙা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একজনের পায়ে ও হাতে এবং আরেকজনের মাথায় ছররা গুলি লেগেছে। তবে তারা আশঙ্কামুক্ত।
বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, গৈয়ারভাঙা বাজারে মিছিল করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উন্দানিয়া গ্রামে গিয়ে বিএনপির সভাস্থলের মঞ্চ, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। এ সময় তারা বিএনপির নেতা মফিজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালান।
একপর্যায়ে অস্ত্রধারীরা গুলি চালায়। এতে মনির হোসেন নামে বিএনপির এক কর্মীর মাথায় গুলি লাগে। উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ আহমেদ খানের পায়ে ও পেটে গুলি লাগে। এ ছাড়া অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
অর্থমন্ত্রীর ভাতিজা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (শাহীন) আয়াত উল্লাহর নেতৃত্বে এ হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী।
তবে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেন।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল হাসান বলেন, বিএনপির লোকজন আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করেছে। আমাদের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদের নাম পরে জানানো হবে। আমরা কোনো হামলা করিনি।
লালমাই থানার ওসি হানিফ সরকার বলেন, বেলঘর উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজনের মধ্যে ঝামেলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে।