বাংলাদেশে যে সব জেলা গর্ব করার মত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধারণ করে তার মধ্যে কুমিল্লা অগ্রগণ্য। বৃহত্তর কুমিল্লা যেমন একদিকে বিশ্বখ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের গুরুদের জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে সংস্কৃতির অন্যান্য ক্ষেত্রেও অনেক নামজাদা ব্যক্তিত্বের আবাসভূমি ছিল এই কুমিল্লা। নিরবচ্ছিন্ন চর্চার ফলেই কুমিল্লা সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থানে পরিণত হয়েছিল।
সেই ধারাবাহিকতায় ২৩ জুন ১৯৭৫ সালে ৯ জন নাট্যপ্রেমী মানুষের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে যাত্রিক নাট্যগোষ্ঠী। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠাতা ৭ জন আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আজও ছায়া দিয়ে রেখেছেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোঃ হাসিম আপ্পু ও গিয়াস উদ্দিন আহমেদ।
প্রতিষ্ঠালগ্নের মাহেন্দ্রক্ষণ পেরিয়ে যাত্রিক আজ ৪৭ বছর। বর্তমানে কুমিল্লার সবচেয়ে প্রাচীনমত ও ঐতিহ্যবাহী এবং বাংলাদেশ গ্র“প থিয়েটার ফেডারেশনের সর্ব প্রথম সদস্য নাট্যদল হিসেবে যাত্রিক স্বীকৃত।
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে যাত্রিক নাট্যগোষ্ঠী গত ২৯ ও ৩০ মার্চ ২দিন ব্যাপী নাট্যোৎসব উদযাপন করেছে। নাট্যোৎসবের প্রথম দিন ২৯ শে মার্চ মঙ্গলবার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শাস্তি নাটক মঞ্চায়ন করে। এ নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন হাসান ইমাম মজুমদার, প্রণব সাহা নান্টু, বিদ্যুৎ সরকার, গোলাম হাসনাঈন নাঈম, সাহেদুল হক তপু, নজরুল ইসলাম রতন, মিতা গাঙ্গুলি, ইমরান হোসেন, প্রান্ত গাঙ্গুলি, চৈতী কর্মকার, আব্দুল কাদের প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্র“প থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য অনন্ত হীরা এবং বিশেষ থিয়েটার ফেডারেশনের দপ্তর সম্পাদক খোরশেদুল আলম।
উৎসবের সমাপণী দিনে ৩০ মার্চ, বুধবার নাটক আমি মন্ত্রী হবো মঞ্চস্থ হয়। নাটকটি রচনায় দিলীপ রায়, নির্দেশনায় প্রণবসাহা নান্টু। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- প্রণব সাহা নান্টু, নাছের মিয়াজী বাবু, গোলাম হাসনাঈন নাঈম, বিদ্যুৎ সরকার, নজরুল ইসলাম রতন, আরিফুর রহমান মঞ্জু, সাহেদুল হক তপু, ইমরান হোসেন, রবিউল বাশার খান, তুষার শুভ্র নন্দী, মিতা গাঙ্গুলী, চৈত্রী কর্মকার, আব্দুল কাদের প্রমুখ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্র“প থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা।
দুইদিনের নাট্যোৎসব সফল ভাবে সম্পন্ন হওয়ায় যাত্রীকের সভাপতি হাসান ইমাম মজুমদার পৃষ্ঠপোষক, ভভানুধ্যায়ী, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, নাট্যকর্মী ও দর্শকদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।