নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে উচ্চ রক্তচাপ ও স্থুলতা স্ক্রিনিং বিষয়ক দুই মাস ব্যাপী পরিচালিত ক্যাম্পেইনের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে সিটি কর্পোরেশনের অতীন্দ্র মোহন রায় সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উপ-সচিব ড. সফিকুল ইসলাম। এসময় মেডিকেল অফিসার চন্দনা রানী দেবনাথ, ডা. ফারজানা আক্তার, সেভ দ্যা চিলড্রেন এর জনস্বাস্থ্য রোগতত্ববিদ ডা: মো: ইশতিয়াকুর রহমান, সিটি কর্পোরেশনের ইপিআই টেকনোলজিস্ট মো: জহিরুল ইসলাম, মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মীগণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ইউএস সিডিসি এর অর্থায়নে ও সেভ দ্য চিলড্রেন, বাংলাদেশ এর কারিগরী সহায়তায় নগর জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ কর্মসূচী শীর্ষক প্রকল্পটি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনসহ বাংলাদেশের সকল সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা সকল সিটি কর্পোরেশনের জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নে সহায়ক ভুমিকা পালন করছে।
ওই প্রকল্পের আওতায়, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে “উচ্চরক্তচাপ ও স্থুলতা স্ক্রিনিং” বিষয়ক দুই মাস ব্যাপী স্ক্রিনিং এবং সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। উক্ত ক্যাম্পেইনের আওতায় ২১ শে মার্চ থেকে ৩১শে মে ২০২২ পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১৬ টি ওয়ার্ডে উচ্চ-রক্তচাপ ও স্থুলতা পরিমাপ করা হয় এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পোষ্টার, লিফলেট বিলি করা হয়।
পরবর্তীতে ক্যাম্পেইন হতে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্টরা জানান, মোট ১০২৬৩ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ১৬% ব্যাক্তি উচ্চ-রক্তচাপে ভুগছেন এবং তাদের মধ্যে ১০% নতুন রোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। পুরুষরা মহিলাদের চেয়ে বেশি উচ্চ-রক্তচাপে ভুগছেন। অধিক ওজন, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম/কায়িক শ্রম না করা, তামাক জাতীয় দ্রব্য সেবন, পাতে লবণ খাওয়া, ইত্যাদি উচ্চরক্তচাপের প্রধান ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ফলাফল বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্টরা আরো জানান, নগরীর ১১% মানুষ উচ্চ-রক্তচাপের ঝুঁকিতে আছেন। উচ্চরক্তচাপ ও স্থুলতার চিহ্নিত ঝুঁকিসমূহ এড়িয়ে নিয়মতান্ত্রিক জীবনযাপনে নগরবাসীকে উদ্বুদ্ধ করা না যায় তবে অদূর ভবিষ্যতে উচ্চরক্তচাপ ও স্থুলতার হার আশংকাজনক ভাবে বৃদ্ধি পাবে।