স্টাফ রিপোর্টার
কুমিল্লা গোমতী নদীরক্ষা বাঁধ ঘেঁষে অবৈধ পাকা ঘর নির্মান করেছে অবৈধ বালু উত্তোলনকারিরা। পাঁচথুবী শালধর কুমিল্লা গোমতী নদীর উত্তর পাড়ে পাকা অফিস ঘর নির্মান করে সেখান থেকেই অবৈধভাবে মাটি ও বালু ব্যবসা নিয়ন্ত্রন করছে একটি মহল, সাথে নদীর আইল কেটে নির্মান করা হয়েছে সংযোগ সড়ক। এই অবৈধ পাকা ঘর নির্মানে বাঁধা দেওয়ায় স্থানিয়দের দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে মাটি ও বালু ব্যবসায়ীরা।
অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিয়োমিত অভিযানের পরও এ ঘর নির্মানের প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানিয় জনসাধারন। স্থানিয়রা বালু ব্যবসায়ীদের অবৈধ ঘর অপসারনের দাবি জানান।
মঙ্গলবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কুমিল্লা গোমতী নদীরক্ষা বাঁধ ঘেষে পাঁচথুবী শালধর এলাকায় গোমতী নদীর উত্তর পাড়ে পাকা অফিস ঘর নির্মান করেছে মাটি ও বালু ব্যবসায়ীরা। ঘরটি গোমতী নদীর উত্তর পাড়ে নদীরক্ষা বাঁধ ঘেষে তৈরি করা হয়েছে। যানবাহ চলাচলে বাঁধ হয়ে দাড়িয়েছে ঘরটি, যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
জানাগেছে, এই ঘরটি থেকেই নিয়ন্ত্রন করা হয় মাটি ও বালু ব্যবসা। ঘরটির পাশ দিয়ে নদীর আইল কেটে তৈরি করা হয়েছে সংযোগ সড়ক, যেখান দিয়ে মাটি বালু সরবরাহের জন্য বড় বড় ড্রাম ট্রাক ও ভ্যাকু মেশিন চলাচল করে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, গত চৈত্র মাসেই ইজারা বাতিল হয়েছে। বৈশাখ মাস থেকে যারা বালু তুলছে তারা সবাই অবৈধ। কুমিল্লা জেলা প্রশাসন গত এক সপ্তাহ ধরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে ২৬ টি ড্রেজার ধংস করে। এ অভিযান অব্যাহত রেখে গোমতী নদী ও কৃষকের আবাদী জমি রক্ষার দাবি জানিয়েছে গোমতী নদীর দুই পাড়ের সাধারণ মানুষ।