এমদাদুল হক সোহাগ
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর ও তাঁর ভাইদের হামলায় আক্তার হোসেন (৫৫) নামের একজন ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
গতকাল শুক্রবার সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন কোটবাড়ি রোডের দক্ষিণ চাঙ্গিনী মোড় এলাকার সংলগ্ন কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের সামনে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত আক্তার হোসেন ওই বাড়ির মৃত আলী হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় সদর দক্ষিণ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কাউন্সিলর আলমগীর হোসেনের তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে। কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন পলাতক রয়েছেন।
জানা যায়, নিহত আক্তার হোসেন ও স্থানীয় কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন সম্পর্কে চাচাতো জেঠাতো ভাই। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও ব্যবসায় সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন ও তাঁর ভাইদের সাথে দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো আক্তার হোসেনদের।
আজ শুক্রবার বেলা পুনে ১১টায় প্রথমে কাউন্সিলরের ভাই বিল্লালের সাথে আক্তার সমর্থক আলালের ঝগড়া ও হাতাহাতির ঘটনা হয়। পরবর্তীতে জুম্মার নামাজের পর দেশীয় লাঠিসোঠা নিয়ে আক্তার হোসেনসহ আরো কয়েকজনের উপর হামলা চালায় কাউন্সিলর আলমগীর সহ তাঁর তিন ভাই ও সমর্থকেরা।
এসময় আক্তার হোসেনকে মাটিতে ফেলে বেধরক মারপিঠ করলে গুরতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে আক্তার হোসেনকে কুমিল্লা মুন হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক আক্তার হোসেনকেমৃত ঘোষণা করে।
বর্তমানে আক্তার হোসেনের মৃতদেহ সদর দক্ষিণ থানায় রয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে কোটবাড়ি ফাড়ির ইন্সপেক্টর নাজমুল হাসান বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছি। দুই দফা সংঘর্ষের পেয়েছি। ফাড়ির ফোর্স গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। আক্তার হোসেন নামের একজন ব্যবসায়ী হামলায় মারা বিষয়টি জেনেছি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলর আলমগীর ও তাঁর ভাইদের সাথে একই বাড়ির তাঁর চাচাতো ভাই আক্তার হোসেনের সাথে আধিপত্য ও ক্ষমতা নিয়ে দীর্ঘদিনের ঝামেলা ছিলো। আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর কাউন্সিলর ও তাঁর ভাইদের হামলায় আক্তার হোসেন নামের একজন মারা গেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কাউন্সিলর আলমগীর পলাতক রয়েছে। তার তিন ভাই আমির হোসেন, বিল্লাল হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন পলাতক থাকায় তাকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।