এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আরো পড়ুনঃ
পঞ্চাশোর্ধ শায়েস্তারা বেগম ও ত্রিশোর্ধ সমীর কুমার মজুমদার। তারা দু’জনেই মানসিক ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন ধরেই তারা ছিলেন নিখোঁজ। হয়তোবা মানব পাচার চক্রের শিকার হয়ে চলে গিয়েছিলেন ভারতে। অবশেষে টানা ১৩ বছর পর তারা স্বদেশে ফিরলেন। কাছে পেলেন স্বজনদের।
শায়েস্তারা বেগম (৫১) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী। আর সমীর কুমার মজুমদার (৩৩) ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার ঝুমারকান্দা গ্রামের শশধর মজুমদারের পুত্র। শুক্রবার (১২ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরে স্বজনদের কাছে পেয়ে হয়ে পড়েন আবেগাপ্লুত।
জানা যায়, প্রায় ১৩ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের এক হাসপাতাল থেকে শায়েস্তারা বেগম এবং বিগত ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর নিজের বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন সমীর কুমার মজুমদার। দীর্ঘদিন ধরেই তারা ভারতের পশ্চিম ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে চিকাৎসাধীন ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মানবাধিকারকর্মী খায়রুল আলমের মাধ্যমে তাদের সন্ধান পান পরিবারের সদস্যরা। ধারণা করা হচ্ছে তারা মানবপাচারের শিকার হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন। মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণেই আদালতের নির্দেশে তাদেরকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে ১২ মার্চ শুক্রবার দুপুরে আখাউড়া চেকপোস্টে আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারি হাই কমিশনার মো. জোবায়েদ হোসেন তাদের দু’জনকে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নূরে আলমের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর তাঁদেরকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়। দীর্ঘদিন পর নিজ দেশে ফিরে স্বজনদের কাছে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন শায়েস্তারা ও সমীর। দীর্ঘ ১৩ বছর পর নিজ দেশে ফিরতে পেরে দুজনেই মানবাধিকারকর্মী খায়রুল এবং দুইদেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান।