এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
নির্ধারিত স্থানে সভা করায় মিলেনি অনুমতি, পরে সংশিষ্ট আইন-শৃক্সখলা বাহিনীর অনুমতি না মেলায় স্থানীয় একটি বে-সরকারি ক্লিনিকে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। কিন্তু সেখানেও সভা-সমাবেশে বাঁধা দেয় পুলিশ। এমনি নাটকীয়তায় শেষতক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পণ্ড হলো আমার বাংলাদেশ (এ.বি) পার্টির আলোচনা-মতবিনিময় সভা। পরে একটি রেস্টুরেন্টে জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলেন এ.বি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
শুক্রবার (১০ জুলাই) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এ.বি পার্টির উদ্যোগে জেলা শহরের ক্বারী চাইনিজ সেন্টারে আলোচনা-মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়েছিলো। এতে যোগ দিতে সকালেই ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন এ.বি পার্টির আহবায়ক (সাবেক সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান) এ.এফ.এম সোলাইমান চৌধুরী এবং সদস্য সচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু। কিন্তু নির্ধারিত স্থানে সভা করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুমতি না মেলায় স্থানীয় একটি বে-সরকারি ক্লিনিকে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। কিন্তু সেখানেও কোন প্রকার সভা-সমাবেশ করতে বাঁধা দেয় পুলিশ। পরে এ.বি পার্টির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে উপস্থিত হয়ে জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ.বি পার্টির সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই এ.বি পার্টির পথচলা। দলের বর্তমান কর্মসূচি হচ্ছে করোনা মহামারি থেকে মানুষকে সচেতন করা এবং সহযোগিতা করা। এরই অংশ হিসেবে দলের আহবায়ক ও সদস্য সচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সফর করেছেন উল্লেখ করে মুজিবুর রহমান মঞ্জু জানান, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষকে কিভাবে সচেতন ও সাহায্য করা যায় এনিয়ে আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিলো। কিন্তু পুলিশের বাঁধার কারণে তা সম্ভব হয়নি। তিনি পুলিশী বাঁধার তীব্র নিন্দা জানান।
এ.বি পার্টির আহবায়ক এ.এফ.এম সোলাইমান চৌধুরী বলেন, সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত করে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ.বি পার্টি কাজ করবে। তিনি এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এ.বি পার্টির সহকারি সদস্যসচিব মো. নাজমুল হুদা অপু ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সমন্বয়ক ইব্রাহিম খান সাদাত।