এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে সহোদর দুই ভাইয়ের মধ্যে চলছিলো বিরোধ। ঘটনা নিষ্পত্তিতে স্থানীয় মাতব্বররা সালিশী বৈঠকের উদ্যোগ নেয়। ওই সালিশে ভগ্নিপতির পক্ষ হয়ে আসায় বেয়াই এলাহী মিয়াকে (এক ভাইয়ের শ্যালক) পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষীয়রা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা এলাকার বর্বরোচিত এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাতে জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে ঘটেছে বর্বরোচিত এ ঘটনা। নিহত এলাহী মিয়া (৩৫) একই উপজেলার পার্শ্ববর্তী মায়ারামপুর গ্রামের বজলু মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করেছেন হত্যা মামলা।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের দুই পুত্র নাজির হোসেন ও আমির হোসেনের মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। দুই সহোদরের মধ্যকার এই বিরোধ নিষ্পত্তিতে গ্রাম্য মাতব্বরদের মধ্যস্থতায় সালিশী বৈঠকের উদ্যোগ নেয়। ২৫ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো সালিশী বৈঠক। ওই বৈঠকে অংশ নিতে ভগ্নিপতির পক্ষ হয়ে মানিকপুর গ্রামে আসেন আমির হোসেনের শ্যালক এলাহী মিয়া। কিন্তু সালিসে আসায় নাজিরের পক্ষ নিয়ে তার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে মেহেদী হাসান লাঠি দিয়ে চাচার শ্যালক এলাহী মিয়ার মাথায় সজোরে আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত এলাহীকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নারকীয় এই ঘটনায় নিহতের বোন বাদী হয়ে তার স্বামীর ভাতিজা মূল অভিযুক্ত মেহেদী হাসানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা হবার পর পুলিশ মূল অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) রাজু আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘নিহতের বোন পাঁচজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করলে প্রধান অভিযুক্ত মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকিদের গ্রেপ্তারের প্রচেষ্টা চলছে।’