এমদাদুল হক সোহাগ:
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি কুমিল্লা (আদর্শ সদর, সিটি কর্পোরেশন ও সেনানিবাস) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। ছাত্ররাজনীতি ও কুমিল্লার রাজপথ থেকেই আজকের বর্তমান অবস্থায় এসে দাড়িয়েছেন। লড়াই সংগ্রাম আর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবেলা করতে হয়েছে সারাটি জীবন। এখনো সেই ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত রয়ে গেছে। জীবনের দু:সময়ে কুমিল্লার মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে এগিয়ে গেছেন তিনি। চলার পথে কিছু মানুষের নি:স্বার্থ ভালবাসা পেয়েছেন তিনি।
রাজনীতির খারাপ সময়ের পরীক্ষিত শুভাকাঙ্খী ও বন্ধু ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার। যখনই আইনগত সহায়তার প্রয়োজন পড়েছে আবদুল বাসেত মজুমদার দেবদূত হয়ে পাশে দাড়িয়েছেন। আইনী পরামর্শ দিয়েছেন। সর্বশক্তি দিয়ে আদালতে লড়েছেন। সেই প্রিয় মানুষ বাসেত মজুমদারের শেষ বিদায়ে লাশ নিজের কাঁদে নিয়ে স্থায়ী ঠিকানায় নিয়ে গেছেন। শোক সন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাড়িয়েছেন। তাদের জড়িয়ে ধরে কেঁদেছেন। এমপি বাহারের খাটিয়া কাঁদে নেয়ার ছবিটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাড়া ফেলেছে।
গরিবের আইনজীভী খ্যাত বাসেত মজুমদার গতকাল সকাল ৮টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। মৃত্যুকালে দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক জানান প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, স্পিকার, আইন মন্ত্রী, রেল মন্ত্রী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী, নৌ পরিবহনমন্ত্রী, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং বিভিন্ন ব্যাক্তি, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ শোক বার্তায় বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও বিচার প্রার্থীদের আইনি সহায়তা দিতে আব্দুল বাসেত মজুমদারের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
এদিকে, আবদুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। একইভাবে ঢাকার নিম্ন আদালতের বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। দুই দফা জানাজা শেষে তার মরদেহ পুরাতন বিমান বন্দরে নেয়া হয়। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে লাশ কুমিল্লা আইনজীবী সমিতিতে নেয়া হয়। সেখানে তৃতীয় জানাজা শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়। গ্রামের বাড়িতে দু’দফা জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাদ মাগরিব তাকে দাফন করা হয়। গ্রামের বাড়িতে বাসেত মজুমদারকে দেখার জন্য ঢল নামে মানুষের। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত হয়ে পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি।