নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির জনকের জন্মবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে হেফাজতের নাশকতা ও তান্ডবের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তান্ডব চলছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা, জেলা পরিষদ, প্রেসক্লাব, আওয়ামীলীগের নেতাদের ঘর-বাড়ি সহ জনগুরত্বপূর্ণ স্থানে হামলা চালানো হচ্ছে।
এরই মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বুধল গ্রামে মনির হোসেন নামের এক যুবকের মাথার মূল্য লাখ টাকা ঘোষণা করেছে হেফাজত। মনির হোসেন বুধল গ্রামের মৃত আবুল কালামের ছেলে। এই ঘোষণায় মনির হোসেন পলাতক অবস্থায় রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে মনিরের পরিবারটি। পুরো গ্রাম ভয়ে ও আতঙ্কে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে।
জানা যায়, হেফাজতের নেতাকর্মীরা আন্দোলন আরো বেগবান ও ব্যাপক নাশকতা পরিচালনা করার জন্য বুধল গ্রামে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠক চলাকালীন সময়ে পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা শুরু করে। এতে করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে মারা যান কাউসার(২২), ফয়সাল(২৪) নামের দুই হেফাজতকর্মী। আটক হয় আরো বিপুল নেতাকর্মী।
ওই বৈঠকের ঘটনা পুলিশকে মুঠোফোনে জানিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠে বুধল গ্রামের মনির হোসের উপর। এরই জের ধরে মনির হোসেনের মাথা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় হেফাজত এবং যে এই কাজ করতে পারবে তাকে লাখ টাকা দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
এদিকে হেফাজতের এমন ঘোষণায় এলাকা থেকে পালিয়ে আত্মগোপনে আছেন মনির হোসেন। পরিবারও ভয়ে বাড়ি ছাড়া। তাঁর মুঠোফোনে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। মনিরের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। ভয়ে ও আতঙ্কে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে নারাজ গ্রামবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুধল গ্রামের কয়েকজন জানান, ভয়াবহ সহিংসতা থেকে দেশকে রক্ষা করতে পুলিশকে কে খবর দিয়েছিল মনির হোসেন। অথচ বিষয়টি হেফাজত জেনে ফেলায় মনিরকে মেরে ফেলার ঘোষণা দিয়ে খোঁজে বেড়াচ্ছে হেফাজতের কর্মীরা। মনিরের পরিবারটিও এখন গ্রাম ছাড়া। পুলিশের পক্ষ থেকেও পরিবারটিকে নিরাপত্তা দেয়ার কোন উদ্যোগ নেই। বিষয়টি অত্যন্ত দু:খজনক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, আমরা বিষয়টি শোনেছি। মনির হোসেন ও তাঁর পরিবারকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সজাগ রয়েছে।