এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দপুরে এখন বইছে নিরানন্দ। বাড়ির রাস্তা নিয়ে চাচাতো ভাইদের সাথে ছিলো ষাটোর্ধ বৃদ্ধ শিশু মিয়ার বিরোধ। এদিকে প্রতিপক্ষ রতন মিয়ার পরিবারের লোকজন ওই রাস্তা থেকেই কেটে নিচ্ছিলেন মাটি। এতে বাঁধা দিলেই শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। পরে রতন গংরা ওই বৃদ্ধের বাড়িতে হামলা চালিয়ে করেন বেধরক মারধর। এরই এক পর্যায়ে চাচাতো ভাইদের হাতেই গেলো ওই বৃদ্ধের জীবন।
নিহত মো. শিশু মিয়া (৬২) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের পুত্র। মঙ্গলবার (৩০ জুন) রাতের এই ঘটনায় চলছে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি। এদিকে ঘটনার পরই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে রতন গংরা।
নিহতের পরিবার, স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা বৃদ্ধ শিশু মিয়া এবং রতন, উজ্জ্বল ও শফিক। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই। বাড়ির রাস্তা নিয়ে ছিলো উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই বাস্তা থেকেই মাটি কেটে নেয় রতন মিয়ার বাড়ির লোকেরা। এ ঘটনায় বাঁধা দিলে বৃদ্ধ শিশু মিয়ার সাথে প্রতিপক্ষ রতন, উজ্জল ও শফিক মিয়ার তর্কবিতর্ক হয়। এর জেরে রতনের লোকজন শিশু মিয়া ও তার পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে বৃদ্ধ শিশু মিয়াসহ তিনজন আহত হয়। গুরুতর অবস্থায় তাদের সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বৃদ্ধ শিশু মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। বুধবার দুপুরে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এদিকে ঘটনার পরই রতন গংরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। নিহতের পরিবারের লোকজন মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।