এমদাদুল হক সোহাগ
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট হোসনেয়ারা বকুল করোনায় আক্রান্ত ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন। গত ১৮ জুলাই তিনি করোনা ভাইরাসের নমুনা প্রদান করেন। সোমবার তার ফলাফল পজিটিভ আসে। এর আগে রোববার সন্ধ্যায় নিজ বাসায় শ্বাসকষ্ট অনুভূত হলে তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটি ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার সাথে সাথে তাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেয় হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।
বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নিজ একাউন্টে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন জীবনের প্রথমবারের মতো হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পাঠকদের জন্য তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
আমি ১৮ তারিখ করোনা স্যাম্পল দিয়েছি। ১৯তারিখ বিকালে আমার শ্বাসকষ্ট অনুভব করি। সেই সাথে একটা অস্বাভাবিক অস্থিরতা। তখন আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নাসিমা আপাকে ফোন দেই। উনি আমাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়ে দ্রুত সবাইকে অবগত করেন। আপাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ ডাঃ তানিয়াকে আমাকে ফোন দিয়ে দ্রুত হাসপাতালে আসতে তাগিদ দেওয়ার জন্য। সেই সাথে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমার শ্রদ্ধাভাজন বড় ভাই কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আমিনুল ইসলাম টুটুল ভাইকে যিনি আমার যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মহোদয়কে অনুরোধ করেছেন এবং পরবর্তীতে আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের সম্মানিত পরিচালক আমার শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব করোনা মহামারীতে চিকিৎসা সেবায় নিবেদিত প্রাণ ডাঃ মজিবুর রহমান ভাইকে। যিনি আমাকে ফোন দিয়ে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তির সকল ব্যবস্থা করেছেন এবং হাসপাতালে ভর্তির পর দ্রুত আমার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। হাসপাতালে ভর্তির পর আমাকে ডাক্তার এবং নার্স সবাই এত দ্রুত চিকিৎসা দিয়েছে এবং যত্ন করেছে যে আমি রীতিমতো মুগ্ধ। হেলথ হিরোদেরকে আমার পক্ষ থেকে স্যালুট🙋
এর আগে হাসপাতালের চিকিৎসা সম্পর্কে আমার কোন অভিজ্ঞতা ছিল না।কারণ আমার জীবনে এই সর্বপ্রথম হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলাম। এর আগে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো কোন অসুখ কখনো হয়নি। আমার অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ছোট বড় ভাই-বোন এবং নেতৃবৃন্দ ফোন এবং ম্যাসেজ দিয়ে আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন, আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। হয়তো যথাসময়ে যথাযথ চিকিৎসা এবং সেই সাথে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় এখনো বেঁচে আছি।
আমি এখন মোটামুটি সুস্থ। সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন ❤️