মামুনুল হককে পথে বাঁধা দেয়ার খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ

এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব ও খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওয়াজ মাহফিলে আসার সময় পথে বাঁধা দেওয়া হয়েছে এমন খবরে বিক্ষোভ করেছে মাদ্রাসা ছাত্ররা। মঙ্গলবার (২ ফেব্রুুয়ারি) রাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের জেলা শহরের কাউতলী মোড়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। এতে ওই মহাসড়কে ঘন্টাব্যাপী যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অবশেষে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে আল্লামা মামুনুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড় হুজুরের মাদ্রাসার মাহফিলে এসে যোগদান করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘরে জামিয়া সিরাজিয়া দারুল উলুম মাদরাসার ৩৪ তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল ছিলো। এতে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবু নগরীসহ বিভিন্ন উলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখার কথা ছিল। তবে বাবুনগরী অসুস্থ্য থাকায় হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও খেলাফত মজলিশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক এ আয়োজনে যোগ দিতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি ওয়াজ মাহফিল শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। রাত ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাদ্রাসা ছাত্রদের কাছে খবর আসে, আল্লামা মামুনুল হককে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতে আশুগঞ্জ টোল প্লাজা এলাকায় পুলিশ বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। এই খবরে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। ভাদুঘর থেকে মাদ্রাসা ছাত্ররা মিছিল নিয়ে কাউতলী মোড়ে এসে মহাসড়কে বিক্ষোভ করে। এসময় তারা টায়ার দ্বারা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এই আন্দোলনের এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১২ টায় আল্লামা মামুনুল হক কাউতলী মোড়ে এসে পৌঁছান। পরে ভাদুঘর মাদ্রাসার ছাত্ররা মামুনুল হককে রিসিভ করে ভাদুঘর মাহফিলে নিয়ে যান।
হেফাজত ইসলামের নায়েবে আমির মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আল্লামা মামুনুল হক সাহেবকে আসতে বাঁধা দেওয়া হয়েছে, এমন খবর পেয়ে ছাত্ররা বিক্ষোভ করেছে। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। আল্লামা মামুনুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাহফিলে যোগ দিয়েছেন।’ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) আবদুর রহিম বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘আল্লামা মামুনুল হককে আসতে বাঁধা দেওয়া হয়েছে, এমন গুজব ছড়ানো হয়েছিল। এতে মাদ্রাসা ছাত্ররা বিক্ষোভ করে। মামুনুল হককে কোন প্রকার বাঁধা প্রদান করা হয়নি। তিনি মাহফিলে যোগ দিয়েছেন। জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে কাউতলী মোড় ও ভাদুঘর মাহফিলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
Post Under