এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের কাজ ইতোমধ্যে ৫০ ভাগ কাজ সমাপ্ত হয়েছে। আগামী মার্চের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পূর্বাঞ্চল রেলপথের আখাউড়া জংশন ইয়ার্ডের গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এসব কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এই এলাকার মানুষের পাশাপাশি সারাদেশের মানুষ উপকৃত হবে। এর ফলে ভারতের মূল ভূখণ্ডে যাতায়াত অনেক সহজ হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যর সুবিধা আরও বেড়ে যাবে। ১৯৭৩-৭৪ সালে ৬৮ হাজার লোকবল থাকলেও বর্তমানে তা কমে ২৫ হাজারে নেমে এসেছে। লোকবল সঙ্কটে দেশের এখনও ১০৪টি রেলস্টেশন বন্ধ রয়েছে। বর্তমান সরকার রেল যোগাযোগ উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। এসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইস উদ্দিন, আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম এবং ভারত ও বাংলাদেশের রেলওয়ের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে মন্ত্রী জেলার কসবা উপজেলায় কসবা রেলষ্টেশনে নির্মাণাধীন ডাবল লাইনের কাজ পরিদর্শন করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় কসবা রেলষ্টেশনে নির্মাণাধীন ডাবল লাইনের কাজ পরিদর্শনকালে রেলপথমন্ত্রী বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই আখাউড়া-লাকসাম ডাবল রেললাইন নির্মাণ কাজ কাজ শেষ হবার কথা ছিলো। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনার কারণে কাজের গতি থমকে যায়।আগামী ২০২২ সালের মধ্যে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেনের যাত্রীদের চলাচলে আমাদের নজরদারি রয়েছে। পাশাপাশি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান।
পরিদর্শকালে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলীয় পরিচালক (চট্রগ্রাম) সর্দার শাহাদাত হোসেন, রেলওয়ে এডিজি-আই ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার, প্রজেক্ট চীফ আমিরুল ইলমাম, তমা গ্রুপের পরিচালক আবুল কাসেম, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম, সহকারি পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) মো. মিজানুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।