কুমিল্লা নগরীর রেইসকোর্স এলাকার এসএম তৌহিদ হোসেন সোহেল হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন। তবে এই রায়ে বাদী পক্ষ অসন্তোষ প্রকাশ করলেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আসামি পক্ষ।
সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব বিরোধ ও দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে কুমিল্লা রেইসকোর্স এলাকার মফিজ উদ্দিন সড়কের মাথায় মূল সড়কে যুবদল নেতা এসএম তৌহিদ হোসেন সোহেলকে ছুড়িকাঘাতে হত্যা করে রেইসকোর্স এলাকার মৃত কদম আলীর ছেলে যুবদল নেতা আহসান হাবিব মিঠু।
![](https://greatercomilla.com/wp-content/uploads/2020/09/5666.jpg)
এ ঘটনার পরে তৌহিদ সোহেলের স্ত্রী বদরুন নাহার লুনা বাদী হয়ে আহসান হাবিব মিঠু ও তার ভাই বিএনপি নেতা মোস্তফা জামানের বিরুদ্ধে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মোস্তফা জামান বর্তমানে জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদকের পদে রয়েছেন। আর খুন হওয়া সোহেল ওই সময়ে জেলা যুবদলের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিত থাকলেও কোনো পদে ছিলেন না।
মামলার বাদী তৌহিদ সোহেলের স্ত্রী বদরুন নাহার লুনা বলেন, আমার স্বামীকে হত্যা করেছে আহসান হাবীব মিঠু ও তার ভাই মোস্তফা জামান। এছাড়াও আসামি আহসান হাবীব মিঠু আদালতে সাক্ষী দিয়েছে তার সহযোগী হাসানও খুনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল। আদালত আজ পলাতক আহসান হাবীব মিঠুকে মৃত্যুদণ্ড দিলেও তার ভাই মোস্তফা জামান ও হত্যার ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত হাসানকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। এখন বেকসুর খালাস পাওয়া আসামিদের জন্য রেইসকোর্স এলাকায় থাকা সম্ভব হবে না। আমরা এই রায় মানি না। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
এদিকে, বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দীর্ঘ ৮ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা এনিয়ে উচ্চ আদালতে যাবো। তবে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আলী আক্কাস এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
তবে মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মিঠু জামিনে বের হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।