জাপানের জনসংখ্যা যে কোনো সময়ের চেয়ে দ্রুতগতিতে হ্রাস পাচ্ছে, আর একই সময় দেশটিতে বিদেশি বাসিন্দাদের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।
বুধবার প্রকাশিত সরকারি তথ্যে এমনটি দেখা গেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
প্রকাশিত তথ্য বলা হয়, দেশটিতে বিদেশি বাসিন্দার সংখ্যা এখন প্রায় ৩০ লাখের কাছাকাছি, ক্রমহ্রাসমান জনসংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে তারা জাপানি সমাজে আরও বড় ভূমিকা পালন করছে।
জাপানের জনসংখ্যা ২০০৮ সালে শীর্ষে ওঠার পর থেকে টানা ১৪ বছর ধরে হ্রাস পেয়েছে। নিম্ন জন্মহারের কারণেই এমনটি হচ্ছে। গত বছর জন্মহার রেকর্ড কম ছিল।
দেশটির স্বরাষ্ট্র ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ২০২৩-এর ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আবাসিক নিবন্ধনসহ জনসংখ্যার তথ্য অনুসারে, জাপানি নাগরিকদের সংখ্যা ১৪তম বছরে আট লাখ কমে ২০২২ সালে ১২ কোটি ২৪ লাখে দাঁড়িয়েছিল।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রথমবারের মতো জাপানের ৪৭টি প্রিফেকচারের সবগুলোতে জাপানি বাসিন্দার সংখ্যা কমেছে।
আর বিদেশি বাসিন্দাসহ মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ ১১ হাজার কমে ১২ কোটি ৫৪ লাখে দাঁড়িয়েছে।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত জাপানে একটি ঠিকানা আছে এমন বিদেশি নাগরিকদের সংখ্যা ২৯ লাখ ৯০ হাজার জন। সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
এক দশক আগে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাপানি না এমন বাসিন্দাদের হিসাবের আওতায় আনা শুরু করার পর থেকে এটি এক বছরে সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি।
বিদেশি বাসিন্দাদের সবচেয়ে বড় অংশ, ৫ লাখ ৮১ হাজার ১১২ জন টোকিওতে বাস করে; যা তাদের মোট সংখ্যার ৪ দশমিক ২ শতাংশ। গত বছর দেশটির রাজধানীর এই প্রিফেকচারেই বিদেশি বাসিন্দার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা দেশটিতে জন্মহার বাড়ানোকে তার সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে নিয়েছেন। এ লক্ষ্যে সন্তান লালনপালন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে পিতামাতাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য তার সরকার বছরে ৩ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন ব্যয় করার পরিকল্পনা করেছে।